শুভ জন্মদিন : প্রেমিক কবি ফারুক মাহমুদ

আগের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলে পেয়ারা বাজার মন্দা

পরের সংবাদ

মুরাদনগরের ‘রাজা বাবু’র দাম এখন ৮ লাখ টাকা

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে : কুমিল্লার মুরাদনগরে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুরবানির জন্য ৩০ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন এক খামারি। সাত ফুট লম্বা সাদা-কালো রংয়ের গরুটির বয়স চার বছর। নবীপুর ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রামের আব্দুল্লাহ ডেইরি ফার্মের খামারি ফরিদ মিয়া ভালোবেসে এর নাম রেখেছেন ‘রাজা বাবু’। দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ।
উদ্যোক্তা ফরিদ মিয়া জানান, চার বছর আগে তার খামারেই গরুটির জন্ম হয়। তখন আদর করে এর নাম রাখেন রাজা বাবু। তখন থেকেই কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়া শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় নাম আর আকারে বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক মানুষজন ফরিদ মিয়ার খামারে ভিড় জমাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। ফরিদ মিয়া বলেন, ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির। প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ মেনে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে এটিকে বড় করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩০ মণ। এখন ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ৮ লাখ টাকা। তবে বাজারের অবস্থা বুঝে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে সাতটি গাভী দিয়ে খামারটি শুরু করেন ফরিদ মিয়া। বর্তমানে খামারে ৪০টি ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ষাঁড় এবার কুরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে ‘রাজা বাবু’ ছাড়াও একটু কম ওজনের কালো রংয়ের আরো দুটি ষাঁড় রয়েছে। ফরিদ মিয়া ছাড়াও তার দুই ছেলে খামারটি দেখাশোনা করেন।
মুরাদনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. কামরুল আহমেদ খান বলেন, আব্দুল্লাহ ডেইরি ফার্মের ফরিদ মিয়ার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ‘রাজা বাবু’ নামের ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। আমাদের জানামতে, উপজেলায় এই ষাঁড়টিই এখন সবচেয়ে বড়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়