শুভ জন্মদিন : প্রেমিক কবি ফারুক মাহমুদ

আগের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলে পেয়ারা বাজার মন্দা

পরের সংবাদ

ভেড়ামারায় জেগে উঠেছে কামারশালা

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : প্রতি বছর ঈদুল আজহার এ সময়টা ছুরি, চাপাতি, বঁটি ও কুড়ালের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর এ সঙ্গত কারণে কুরবানির ঈদের মাসখানেক আগে থেকেই কামারশালা টুংটাং ধাতব শব্দে মুখর হয়ে ওঠে। ভেড়ামারায় এবারের চিত্র অবশ্য কিছুটা হলেও ভিন্ন। দীর্ঘ সময় লকডাউন-বিধিনিষেধে কামারের কাজকর্মে ভাটা পড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কামারশালাগুলোতে দেখা যায়নি কোনো কর্মচাঞ্চল্য। ঈদের আগ মুহূর্তে লকডাউন শিথিল হওয়াতে দেরিতে হলেও জেগে উঠেছে কামারশালাগুলো; প্রাণ ফিরে পেয়েছেন কামাররা। তবে সব মিলিয়ে পেশাগতভাবে ভালো তারা।
অতীতে ঈদুল আজহার মৌসুমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তপ্ত লোহায় হাতুড়ির পিটুনিতে ছুরি, বঁটি, চাপাতি বানানোয় ব্যস্ত থাকতেন তারা। ঈদকালীন রোজগারে কয়েক মাস চলে যেত তাদের। কিন্তু করোনার কারণে সেই দিন আর নেই। ভেড়ামারা নতুন হাট, সমিতির মোড়, মতিনহাট, বাহদুরপুর, জুনিয়দহ, খারাড়া চণ্ডীপুর, রায়টা আডকান্দি এলাকার কলেজ বাজার, কাঠেরপুল বামনপাড়ার উল্টো দিকে বেশকিছু কামারের দোকান এখনো টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। করোনার আগে বছরের পুরো সময় জুড়ে দা, বঁটির বেচাকেনা থাকলেও বড় বাণিজ্যটা হয় কুরবানির ঈদের আগে। লকডাউনের কারণে এবার এর ব্যত্যয় ঘটেছে।
প্রদীপ সরকার এখানকারই একজন কামার। তিনি বলেন, গত বছর কম হলেও আয় হয়েছে। কিন্তু এবার দোকানই খুলতে পারিনি। বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খুলেছি। রোজ ১ হাজার টাকাও বিক্রি নেই। তার ওপর ব্যবসার ব্যয়ও বেড়েছে। কয়লার দাম, লোহার দাম সবই বেড়েছে। কামার সাইফুল জানান, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। জবাই করা ছুরি দেড় থেকে ২ হাজার টাকা, বঁটি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত এবং চাপাতি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চাপাতির ওজন বাড়িয়ে বানানো হলে খরচ আরো বেশি পড়বে। ব্যবসায় এভাবে টানা লোকসান হতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়