ভূমিহীনদের ঘর পুনর্নির্মাণের দাবি বিএনপির

আগের সংবাদ

ঈদ ঘিরে লকডাউন শিথিল : ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিন সারাদেশে বিধিনিষেধ শিথিল, আজ প্রজ্ঞাপন

পরের সংবাদ

আর্জেন্টিনার সোনার ছেলে ডি মারিয়া

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রায় তিন দশক ধরে শিরোপা খরায় ভুগছিল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে গতকাল ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচল মেসি বাহিনীর। সোনার ছেলে ডি মারিয়ার পা দিয়েই এলো আর্জেন্টিনার এই সাফল্য। ফাইনালের একমাত্র গোলটিই যে করেছেন তিনি। সোনা না হোক, সাধারণ ফ্রেমে হলেও তার ছবিটা তাই বাঁধিয়েই রাখতে পারেন আর্জেন্টাইনরা!
কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ২২তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ডি মারিয়া। যার মধ্য দিয়ে ঘুচেছে আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপা খরা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিরোপা খরা ঘুচেছে মেসিরও, এতদিন যে এই অপবাদেই পুড়ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। তাই এ দিনটির জন্য হলেও ডি মারিয়া আর্জেন্টাইনদের জন্য বিশেষ এক নাম। তারা চাইলে প্রতিনিয়ত স্বপ্নের তুলিতে আঁকতে পারেন ২২তম মিনিটের সেই মুহূর্তটিকেও।
শিরোপা জেতার জন্য যথেষ্ট না হলেও ডি মারিয়া এর আগে আর্জেন্টিনাকে বহু আনন্দঘন উপহার এনে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আর্জেন্টাইনদের জন্য এক আক্ষেপের নামও। ব্রাজিল বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ইনজুরিতে না পড়লে আর্জেন্টিনার নামের পাশে এখন তিনটি শিরোপা থাকতে পারত- এখনো এই কথাটি অনেকেই বিশ্বাস করেন, পোড়েন আক্ষেপের আগুনেও। মারিয়া কী দুর্দান্ত ফর্মেই না ছিলেন ২০১৪ বিশ্বকাপে! শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোনো কোনো মুহূর্তে মেসিকেও ছাপিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি আসে মারিয়ার পা থেকে। কোয়ার্টার ফাইনালে গঞ্জালো হিগুয়াইনের গোলটিও আসে তার অ্যাসিস্ট থেকে। অথচ হায়! ইনজুরির কারণে আর ফাইনালে খেলা হয়নি সম্ভাবনাময় এ তারকার। ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে তারা হারে ১-০ গোলে।
টুর্নামেন্টে গোল্ডেন বলের জন্য ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পান ডি মারিয়া। শেষ পর্যন্ত যা লিওনেল মেসির শোকেসে যায়। বিশ্বকাপ শেষে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচে জয় পায় ৪-২ গোলে। যেখানে মারিয়া জড়িয়ে রয়েছেন চারটি গোলে। নিজে একটি গোল করাসহ সতীর্থদের তিনটি গোলে সহায়তাও করেন তিনি। সব মিলিয়ে কোপা আমেরিকায় মারিয়া খেলেছেন ২৩ ম্যাচ, ৫ গোলের পাশাপাশি তিনি করেছেন ৬টি অ্যাসিস্টও। বিশ্বকাপের ১৩ ম্যাচে তার পা থেকে এসেছে দুই গোল।
২০০৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ডি মারিয়ার আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক ঘটে। ২০১০ সালে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে তিনি করেন অভিষেক গোল। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তে দলেও ছিলেন তিনি, খেলেন পাঁচটি ম্যাচও। আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১১১ ম্যাচে। গোল করেছেন ২১টি। এগুলোর মধ্য থেকে হয়তো ডি মারিয়া গতকালের গোলটিকেও ক্যারিয়ার সেরা বলবেন। ম্যাচটিও হয়তো তার ক্যারিয়ার সেরা।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্ত ভুলে যাওয়ার মতো না। মেসি আমাকে ম্যাচের আগেই বলেছেন, এটি এক বিশেষ ফাইনাল। সত্যি সত্যিই এটা আমার জন্য এই বিশেষণে পরিণত হয়েছে। আমিও তাকে ধন্যবাদ দিলাম। এখন আমি আমার মেয়েরা, স্ত্রী, পিতামাতা, সবার জন্য খুশি। সর্বোপুরি যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়