মাইনুল হোসেন খান নিখিল : রেশনিং সিস্টেমে বিনামূল্যে খাবার দেবে যুবলীগ

আগের সংবাদ

বিশ্ব মিডিয়ার চোখে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনার ‘উপহারের বাড়ি’ থেকেও চুরি! এ কী দুঃসাহস!

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এক সময় শুনতাম, হয়তো এমন গল্পকথা প্রবাদ-প্রবচনের মতো এখনো প্রচলিত আছে যে, দর্জি এবং গহনাকাররা নিজেদের মায়ের দেয়া কাপড় বা অলঙ্কারের ফরমায়েশ থেকেও কাপড় বা স্বর্ণ হাতিয়ে নেন! পেশাভিত্তিক এ রকমের চৌর্যবৃত্তি মানুষের শুধু স্বভাবই নয়- একেবারে রক্তের সঙ্গেও মিশে গেছে! জনসমাজে প্রচলিত প্রবাদসম এরূপ গল্পকথা যে একেবারে ভিত্তিহীন নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবিত ‘গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প’ থেকেও আমরা প্রমাণ পেলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সবার স্বভাব ও রক্তের সঙ্গে বর্ণিত কুপ্রবৃত্তি মিশে গেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলের আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো বিধ্বস্ত কিংবা পানিতে ডুবে যাওয়ার মাধ্যমে তা প্রকট হয়ে উঠছে। প্রকট হয়ে উঠছে বর্ণিত কর্মকর্তাদের মানসিক অবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মহৎ দায়িত্ব পালনে অবহেলায় তাদের পারদর্শিতাও!
মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের মাঝে দুই শতাংশ জমির দলিলসহ একটি দৃষ্টিনন্দন বসতবাড়ি উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি ভূমিহীন পরিবারের কাছে জমিসহ তাদের বাড়ি হস্তান্তরও করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটেছিল, বুকের ভেতর অনুরণিত হয়ে উঠেছিল আনন্দের ঝংকার। গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা অসহায় মানুষের আনন্দ-অশ্রæ দেখেছি, দেখেছি তাদের স্ফূর্তিভরা ও আনন্দিত মুখচ্ছবি! তাদের মুখের হাসি ও বুকের বল দেখে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা নিজেও। আমরাও মনে মনে ভেবেছি ‘দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- শেখ হাসিনার মহত্তর এই ঘোষণা বাস্তব রূপ লাভ শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবরূপ লাভ করছে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনার মাধ্যমেই এ দেশের নিরন্ন মানুষের অন্ন-সংস্থান সম্ভব হয়েছে, গৃহহীন মানুষের গৃহ-সংস্থানও সম্ভব হয়ে উঠছে। হতদরিদ্রের অপবাদ লাঘবের মাধ্যমে জননেত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কিছু মানুষের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এগিয়ে যাওয়াকে থমকে দেয়, আমাদের হতাশ করে। কোনো মহৎ উদ্যোগ কিছুসংখ্যক দুর্বৃত্তের জন্য কালিমালিপ্ত হলে হতাশ হওয়ার বিকল্পও থাকে না। পাশাপাশি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক অভিযাত্রার পরিণতির কথা ভেবেও আড়ষ্ট হতে হয়! সর্বত্রই যদি দুর্বৃত্তের উপস্থিতি থাকে তাহলে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের অভিযাত্রাকে আমরা কীভাবে সফল করব?
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাম্প্রতিক ঘটনাদৃষ্টে মনে হয়, কাউকে দিয়ে কারো কাছে কোনো উপহার পাঠানোরও সুযোগ নেই! গৃহহীনদের মাঝে শেখ হাসিনার উপহারের ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই! রক্ষকই এখানে ভক্ষক হয়ে পড়েছেন! গরিব মানুষের স্বপ্নের ঘরগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছেন তারাই যারা রাষ্ট্রের বাহক মাত্র হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সামগ্রী প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন! অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা গরিবের প্রাপ্য উপহারই ‘সংহার’ করে ফেলেছেন! ‘বানরের পিঠা বণ্টন’ গল্পের কথাও আমাদের মনে পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর ইবাদতের মতো।’ আমরাও জানি, এ দেশের মানুষের প্রতি বিশেষত অসহায়, দরিদ্র, নিরন্ন ও গৃহহীন মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার মমত্ববোধ অত্যন্ত প্রগাঢ়। মানুষের প্রতি গভীর মমতা আছে বলেই শেখ হাসিনার নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক বিশেষণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আমাদের জিহ্বার ডগায় চলে আসে। রাজনৈতিকভাবে দেশরতœ বা রাষ্ট্রনায়ক ছাড়াও সঙ্গত কারণে ইতোমধ্যেই তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জননেত্রী, মানবতার জননী, মমতাময়ী বিশ্বনেতা কত কী! জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও আশ্রয়হীন মানুষের জন্য যখন আশ্রয় দানের উদ্যোগ নেন তখন প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সে উদ্যোগে শতভাগ সততা নিয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত। শতভাগ সততা না থাকলে এরূপ মহৎ উদ্যোগে যুক্ত না হওয়াই ভালো।
অসহায় বাস্তুহারা মানুষগুলোকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়িগুলো দুই মাসের মধ্যেই নানাভাবে ভেঙে পড়ছে, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কিংবা সামান্য বৃষ্টির পানিতেই ডুবে যাচ্ছে! কেউ কাউকে কিছু উপহার দেয়ার পরপরই যদি দেখেন উপহারের সামগ্রীটি নষ্ট হয়ে গেছে তখন তার খারাপ লাগার শেষ থাকে না! প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বাড়িগুলোর বিপন্নদশা দেখে জননেত্রীর কেমন লাগছে সে কথা কি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আদৌ ভেবে দেখেছেন? মুখ্য সচিব হতাশার সঙ্গে যেমনটি বলেছেন, ‘এ ব্যর্থতা আমাদেরই, এ লজ্জা আমাদেরই!’ প্রথম শ্রেণির নবীন এসব কর্মকর্তার দিকে তাকালেও আমরা লজ্জায় আচ্ছন্ন হই।
যাদের স্বভাবের মধ্যে যে কোনো প্রকল্পই হোক সেখান থেকেই ‘পার্সেন্টেজ পকেটস্থ করতে হবে’- অর্থাৎ ওপরে বর্ণিত গল্প/উপকথার দর্জি, গহনাকার বা বানরের মতো মনোভাব সম্পন্নদের এ জাতীয় মহৎ প্রকল্পের বাইরে রাখাই বাঞ্ছনীয়। কয়েক বছর আগে আমরা দেখেছিলাম মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দেশি-বিদেশি রাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তিকে দেয়া সোনার ক্রেস্টেও ভেজাল ধরা পড়েছিল! জননেত্রীকে এক প্রকার গøানির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রেরই ঊর্ধ্বতন কর্মচারীরা! জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মমতাময়ী মায়ের আসনে অধিষ্ঠিত রেখে তার স্বপ্নকে খর্ব করে দিয়েছেন রাষ্ট্রের দুর্বৃত্তরা- গল্পকথার দর্জি, গহনাকার বা বানরের মতো! ইতোমধ্যে এদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি আরোপ করা হয়েছে। অচিরেই হয়তো বাকি অপরাধীরাও শাস্তির আওতায় আসবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উজ্জ্বল মুখ কালো করে দেয়া কর্মকর্তাদের কেবল বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনলেই চলবে না, অপরাধীদের আইনানুগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনাও জরুরি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে কিনা তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গৃহনির্মাণের জন্য জায়গা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের অবহেলা। আমরা মনে করি, আর্থিক অস্বচ্ছতার পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্বাচনে দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। জানি না, উপজেলা প্রকৌশলীরা এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত ছিলেন কিনা? তারা এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত থাকার পরও যদি দুই মাসের মধ্যে বাড়িঘরগুলোর ভগ্নদশা হয়, তবে তাদেরকেও কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী প্রভৃতি পদে যারা দায়িত্ব পালন করছেন চাকরিতে তারা বেশি জ্যেষ্ঠ নন। চাকরি জীবনের এই নবীন বয়সেই এরা যদি প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও ভালোবাসার রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের এরূপ ‘নয়ছয়’ করে ফেলতে পারেন তবে ‘বড় হলে’ তারা যে দুর্নীতির ‘রাঘব বোয়াল’ হয়ে উঠতে পারবেন সে বিষয়ে স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী করাই যায়! এসব ‘হবু’ রাঘব বোয়ালদের বেড়ে ওঠার কোনো সুযোগ যেন আইনের ফাঁক কিংবা প্রশাসনিক দুর্বলতার মধ্য দিয়ে তৈরি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব মহলকে গুরুত্বের সঙ্গে এ অন্যায়ের প্রতিবিধান ও অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা জানি নানা রকমের আনুষ্ঠানিকতা এবং ঠিকাদারদের গড়িমসির দীর্ঘসূত্রতা এড়িয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোকেই কাজে লাগানো হয়েছিল। সেই সূত্রে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মূল দায়ভার বর্তায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকতা (এসি ল্যান্ড), উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ওপর। এই প্রকল্পের তদারককারীরাও জবাবদিহির বাইরে নন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি। কোথাও কোথাও গৃহহীনদের কাছে থেকে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীকেও নিঃসন্দেহে হতাশ করে। আশ্রয়ণে ঘর উপহার পাওয়া অসহায় মানুষগুলোর কাছে শেখ হাসিনাও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েন।
একটি সাধারণ ঘর নির্মাণের সময় অশিক্ষিত মানুষও সর্বাগ্রে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করেন কেমন জমির ওপর কেমন বাড়ি তৈরি সম্ভব। সরকারি আমলাতান্ত্রিক শৃঙ্খলায় প্রতিটি জেলা তো বটেই, প্রতিটি উপজেলায়ও প্রকৌশলী পদ রয়েছে। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা কতটুকু জানি না। মাটি পরীক্ষার কাজে প্রকৌশলীদের যুক্ত করা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কি ভেবেছিলেন যে, কোনো মতে একটি বাড়ি বানিয়ে দলিল হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই সব শেষ হয়ে যাবে? আমাদের কাছে স্পষ্ট, অসহায় মানুষের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার যে গভীর মমতার টান তা এসব মেঠো-কর্মকর্তারা যথার্থরূপে উপলব্ধিই করতে পারেননি। শেখ হাসিনা যাদেরকে ভালোবাসেন সেসব গরিব মানুষের সঙ্গে এ রকম মশকরা করার দুঃসাহস উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কোথায় পেলেন জানতে ইচ্ছা করে। জানতে ইচ্ছা করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন চুরির দুঃসাহসই বা তারা কোথায় পেল? সূ² অনুসন্ধানের মাধ্যমে স্বপ্নের প্রকল্প নয়ছয় করা দুর্নীতিগ্রস্ত ও দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারী রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করাতে হবে।
পুনশ্চ : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধসে পড়া, ডুবে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলো সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। আশ্রয়ণের বিধ্বস্ত বাড়িঘরগুলো সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চরিত্র সংস্কারেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দেশবাসীর এটাই প্রত্যাশা।
আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়