মগবাজারে বিস্ফোরণ আরো একজনের মৃত্যু

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথের ঋতুর গান ও অন্যান্য

পরের সংবাদ

রংপুরে টবে সূর্যডিম চাষ

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাসান গোর্কি, রংপুর থেকে : সূর্যডিম বিশ্বে উন্নত জাতের আম হিসেবে পরিচিত। দেশে এই আম চাষ হলেও তা হাতেগোনা। তবে এই আমের বেশ কিছু নামও রয়েছে। কেউ এই আমকে মিয়াজাকি, রেড ম্যাঙ্গো আবার কেউ এই আমকে এগ অব দা সান বলে। রংপুরে এক ব্যক্তি টবে সূর্যডিম আমের চাষ করেছেন। তার গাছে আম ধরেছে।
এশিয়া মহাদেশে সাধারণত যেসব প্রজাতির আম চাষ হয় এই আম দেখতে এবং স্বাদে সেগুলোর চেয়ে ভিন্ন। এই মহাদেশের অন্যসব আম হয় সবুজ কিংবা হলুদ রঙের। আর আগুন রঙের এই আমটি দেখতে ঠিক যেন বড় একটি ডাইনোসরের ডিমের মতো।
১৯৭০-১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাপানের মিয়াজাকি এলাকায় এই আমের ফলন শুরু হয়। তখন থেকে এটি মিয়াজাকি আম নামে পরিচিতি পায়। দেশটিতে এই আম দামি উপহার হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। দেখতে টকটকে লাল রং, মাঝে হালকা বেগুনি আভা। এর তুলনা টানা হয় দামি পাথর চুনার সঙ্গে। রংপুরের শৌখিন কিছু গাছপ্রেমী বাড়ির ছাদে টবে এই আমের চারা রোপণ করেছেন। এ বছর গাছে আমও ধরেছে। শৌখিন মহিউদ্দিন আলমগীর তোতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রংপুর নগরীর বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার বাড়ির ছাদে সূর্যডিম জাতের ৬টি আমের চারা রোপণ করেছেন। তিনি জানান, গত ২ বছর আগে মিয়াজাকি আমের চারা নিয়ে এসে বাড়ির ছাদে টবে রোপণ করেছি। তার মধ্যে একটি গাছে ৬টি আম ধরেছে।
জানা গেছে, একেকটি আমের ওজন প্রায় ৭শ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দামও বেশ চড়া। বিশ্ব বাজারে এটি রেড ম্যাঙ্গো নামেও পরিচিত। অন্য সব আমের চেয়ে সুস্বাদু ও মিষ্টি বেশি। শৌখিন এই গাছপ্রেমী জানান, আমটির গড় ওজন প্রায় ৭শ গ্রাম। প্রতি গ্রাম আমের দাম ৯০ টাকা।
রংপুর বুড়িরহাট হটিকালসার ফার্মের উপপরিচালক আফতাব হোসেন জানান, তার ফার্মে এই জাতের আমের চারার উৎপাদন এবার শুরু করেছেন। দেশে এই আম কিছু এলাকায় দেখা যায়। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এই আমের চাষ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়