অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

সাক্ষাৎকার : গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার > করোনায় ঝরে পড়ছেন অনেক শিক্ষকও

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহামারি করোনার সংক্রমণের কারণে বিপাকে আছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময়ে কেমন আছেন শিক্ষকরা? এ নিয়ে কথা বলেছেন নন-এমপিও শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার
অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে জানিয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি এবং খুলনা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ভোরের কাগজকে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না থাকায় এমনিতেই আমরা অমানবিক জীবনযাপন করছি। গত দেড় বছর ধরে করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের টাকা পয়সা পান না। এতে শিক্ষকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, করোনার কারণে বেতন না পেয়ে বহু শিক্ষক পেশা বদল করেছেন। এর মধ্যে কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ মাছ বিক্রি করছেন। কেউবা ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয়কারী হিসেবে চাকরি করছেন। করোনাপরবর্তী সময়ে হয়তো তারা আর শিক্ষকতা পেশায়ই ফিরবেন

না। সব মিলিয়ে করোনায় শুধু শিক্ষার্থী নয়, বহু শিক্ষকও ঝরে পড়ছেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে এখন সাড়ে ৬ হাজারের কিছু বেশি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এমনিতেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বহু সমস্যা। সামাজিক মর্যাদা নেই। অর্থনৈতিক দৈন্যদশা লেগেই থাকে। এর মধ্যে এসেছে করোনা। এই রোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষক মারাও গেছেন। তবু কোনো আর্থিক সুবিধা পাননি। কিন্তু সরকার তো নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা দিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের আংশিক শিক্ষক-কর্মচারী গত বছর সরকারের দেয়া প্রণোদনা পেয়েছেন। নিজ প্রতিষ্ঠান খুলনা আইডিয়াল কলেজের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানে ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও প্রণোদনা পেয়েছেন মাত্র ৮/৯ জনে। বাকিরা কেন পেলেন না তা তিনি জানেন না উল্লেখ করে বলেন, এই প্রণোদনা নিয়েও বঞ্চনার গল্প আছে। সেটা কি রকম? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর শিক্ষকরা আড়াই হাজার টাকা করে প্রণোদনা পেয়েছেন, তাও ‘একাউন্ট পে চেকের’ মাধ্যমে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে বহু শিক্ষকের ব্যাংক একাউন্টই নেই। প্রণোদনা পাওয়ার জন্য তাদের ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে হয়েছে। শুধু চালু করাই নয়, ব্যাংক একাউন্টে নিদেনপক্ষে হাজার টাকাও রাখতে হয়েছে। এখন প্রণোদনার আড়াই হাজার টাকা শিক্ষকদের পকেটে আসেনি। একাউন্টের চাহিদা পূরণ করতেই শেষ হয়ে গেছে। এবার প্রণোদনা না পাঠালেও বলা হয়েছে ‘বিকাশ’ এবং ‘নগদে’ তা আসবে। কিন্তু বহু শিক্ষকের ফোন নেই। ফলে তাদের টাকা কীভাবে আসবে সেটি নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে নন-এমপিও শিক্ষকরা ফের বঞ্চনায় পড়তে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়