ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ : বাংলাদেশিসহ ৪৩ অভিবাসীর সলিল সমাধির আশঙ্কা

আগের সংবাদ

অনিয়মে প্রশ্নবিদ্ধ ‘আশ্রয়ণ’ > দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : পাঁচ কর্মকর্তা ওএসডি, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত

পরের সংবাদ

অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বাসাবো এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী উর্মি আক্তারের (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় সবুজবাগ থানায় মামলা করেছে তার পরিবার। গতকাল সোমবার সকালে পর্নোগ্রাফি আইন ও আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে দুজনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করা হয়। মামলার আসামিরা হলো- মো. শামীম ও মো. ফাহিম। পরিবারের অভিযোগ ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াসহ ব্ল্যাকমেইল করায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় উর্মি।
এর আগে গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবুজবাগ উত্তর বাসাবোর টিনশেড বাসায় ফাঁস দেয় উর্মি। আশঙ্কাজন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সোয়া ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহটি নিয়ে যায়। উর্মির মামা রাজিব হোসেন জানান, বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত তার বোনের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে উর্মি ছিল বড়। তার বোন ও ভগ্নিপতি যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় থাকলেও উর্মি সবুজবাগ উত্তর বাসাবোয় নানির বাসায় থেকে পড়াশোনা করত। যাত্রাবাড়ী এলাকার শামীম ও ফাহিম নামে দুই যুবক উর্মিকে উত্ত্যক্ত করত। তারা কৌশলে উর্মির সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও তোলে। পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময় টাকাও আদায় করত তারা। সম্প্রতি তারা আরো টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় উর্মি। রাজিব আরো জানান, টাকা না দেয়ায় তারা অশ্লীল ভিডিও এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার রাতে তার বোন মেয়ে উর্মিকে বকাঝকা করেন। অভিমানে সে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরাদুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, এই ঘটনায় সবুজবাগ থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা ও পর্নোগ্রাফি আইনে বাদী হয়ে মেয়েটির বাবা আবুল হোসেন মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়