অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

শিরোপা থেকে এক ম্যাচ দূরে ব্রাজিল

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল নেইমার জুনিয়রের ব্রাজিল। পেরুবিয়ানদের বিপক্ষে গতকাল সেমিফাইনালে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে টানা দুটি কোপার ফাইনালে উঠল নেইমার বাহিনী। ২০১৯ সালের ফাইনালে এই পেরুকে হারিয়েই নবম কোপা আমেরিকা ট্রফি ঘরে তুলেছিল তিতের দল। এখন তাদের সামনে দশম শিরোপা জয়ের হাতছানি। ফাইনালে উঠে নেইমার প্রতিপক্ষ হিসেবে চেয়েছেন বন্ধু লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে, তবে জয় কামনা করেছেন নিজের দেশের।
ফাইনালে উঠে উচ্ছ¡সিত নেইমার। ম্যাচ শেষে হাসি হাসি ভঙ্গিতেই তিনি জানান ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ যেন ব্রাজিল হয়। তবে জয়টা যেন ব্রাজিলেরই হয়। এ সম্পর্কে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে নেইমারের ভাষ্য, ‘আমি আর্জেন্টিনাকে চাই। তাদের উৎসাহও দিচ্ছি। সেখানে আমার বন্ধু আছে।

তবে জিতবে ব্রাজিলই!’ এ ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে কোপা আমেরিকায় টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত তিতের অধীনস্থ দলটি, যা ব্রাজিল কোচ হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। তিতের আগে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে মারিও জাগালোও সমানসংখ্যক ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন।
ব্রাজিলিয়ান ঢংয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ, গোল-অ্যাসিস্ট, অল্পতেই পড়ে যাওয়া, নেইমার খেললে এই দৃশ্যগুলো যেন পরিণত হয়েছে চিরাচরিত নিয়মে! গোল বাদে রিও ডি জেনেরিওতে পেরুর বিপক্ষে গতকাল সেমিফাইনালেও এসবের ব্যতিক্রম ছিল না। বেশ কয়েকবার পেরুর রক্ষণ ছিঁড়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছেন পিএসজি সুপারস্টার। শুধু যে বক্সের ভেতর তা না, বলতে গেলে পুরো মাঠেই আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি। ফলস্বরূপ গোল না করেও সেমিফাইনালের নায়ক নেইমার।
ব্রাজিল যখন গোলটি পায় তার আগেও পেরুর বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। দুই ডিফেন্ডারের পায়ের তলা থেকে অসম্ভবকে সম্ভব করে বল নিজের দখলে নেন তিনি। পুরো নিয়ন্ত্রণে এলে বল ছুড়ে দেন ফাঁকায় থাকা লুকাস পাকুয়েতাকে। সেই বলটিই ম্যাচের ৩৫ মিনিটে জালে পাঠান পাকুয়েতা। ব্রাজিলের লিড তখন ১-০ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে এই নেইমারের সহায়তায়ই লুকাস পাকুয়েতা একটি গোল করেছিলেন। ওই ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ও ছিল ১-০ গোলে। তার সুবাদেই শেষ চারে পৌঁছে ব্রাজিল। পেরুর বিপক্ষে অবশ্য সুযোগ মিসও করেছেন নেইমার। এভারটনের বাড়ানো বলে শট নিতে গিয়ে পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে মারেন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাজিল সুবর্ণ একটি সুযোগ পেয়েছিল ব্যবধান দ্বিগুণ করার। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় তাদের। অপরদিকে পেরু তাদের সবচেয়ে বড় সুযোগটি পায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ব্রাজিলকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসন। তার কাছে পুরো ম্যাচে বল ধরার সুযোগই এসেছিল দুবার। মাঝমাঠ আর রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় তেমন কোনো কঠিন পরীক্ষায়ই পড়তে হয়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয় তাদের। এ নিয়ে পেরুর বিপক্ষে ৩৬টি ম্যাচে জয় পেল ব্রাজিল। ৯ ম্যাচ ড্র হওয়ার বিপরীতে তাদের হার ৫টিতে।
জয় পেলেও এই ম্যাচের ফল চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিতে পারে কোচ তিতের কপালে। কেননা এ নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচে মাত্র একটি করে গোল করেছে ব্রাজিল। অথচ শক্তিসামর্থ্য বিবেচনায় ব্রাজিলের গোলের বন্যা বইয়ে দেয়ার কথা! গ্রুপ পর্বেই যে চার ম্যাচে ১০ গোল করেছিল ব্রাজিল।
তিতের স্বস্তি হতে পারে আরেক জায়গায়। ঘরের মাটিতে কখনো কোপার শিরোপা হাতছাড়া করেনি ব্রাজিল। নিজেদের দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত পাঁচটি আসরেই শিরোপা জিতেছে তারা। সে হিসাবে এবারের আসরেও ট্রফি শোকেসে নেয়ার অমূল্য সুযোগ সেলেসাওদের। ব্রাজিল কোপা আমেরিকার প্রথম শিরোপা জিতেছিল ১৯১৯ সালে। ওই আসরটি বসেছিল ব্রাজিলে। তারা ঘরের মাটিতে শিরোপা জিতেছে ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯ ও ২০১৯ সালে। তাদের অন্য চারটি শিরোপা এসেছে ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়