অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা : মো. মাহবুব হোসেন, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউনিক ও ড্রিম প্রজেক্ট। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর সরকার। কোথাও অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কমিটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- বললেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। মুজিববর্ষে গৃহহীন, আশ্রয়হীন, ছিন্নমূল মানুষকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও নির্মাণ কাজের ত্রæটি ও স্থান চিহ্নিতকরণ সমস্যার কারণে সুফল পাচ্ছেন না উপকারভোগীরা। জামালপুরে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া, বগুড়ার শেরপুরে ঘর ধসে পড়া, গোপালগঞ্জে ঘর ভেঙে পড়া, বরগুনার তালতলীতে নির্মাণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘর ভেঙে যাওয়া, লালমনিরহাটে ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে ৪৯২টি উপজেলায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ২২ জেলার ৩৬টি উপজেলার মোট ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সব অভিযোগই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত অভিযোগের সংবাদ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি। এছাড়া যেখানে অভিযোগ এসেছে সেখানে নতুন করে ঘর তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পকে বিশ্বের প্রথম ইউনিক প্রজেক্ট উল্লেখ করে মাহবুব হোসেন বলেন, বিশ্বের প্রথম এ ধরনের প্রকল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য স্বামী-স্ত্রীর নামে দলিল করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এটি। এই প্রকল্প যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। এ কারণে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি, তদন্ত প্রমাণ সাপেক্ষে বাকিদের বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়