অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

জয়ের সন্ধানে মাঠে নামছে মুমিনুল বাহিনী

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় দেড়টায় ম্যাচ শুরু হবে। তাই আজ জয়ের সন্ধানে মাঠে নামবে মুমিনুল বাহিনী। একমাত্র টেস্টে দুদলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
তাছাড়া প্রায় ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফর করেছে ২০১৩ সালে। ওই সময় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজে হেরে যায় টাইগাররা। এমনকি ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জেতার পর থেকে একটি টেস্টও জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাই এই সফরে ব্যর্থতার খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে মুমিনুলরা। আজ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে। কারণ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৫ সালে। চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ২২৬ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাছাড়া টেস্টে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের জয়ের পাল্লা সমান। ২০০১-২০২০ সাল পর্যন্ত দুদল ৯ সিরিজে ১৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়। যেখানে বাংলাদেশ ৭টি ও জিম্বাবুয়ে ৭টি ম্যাচ জিতেছে। আর বাকি ৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে। এবার যে দল জিতবে তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দশম টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে ঘরের মাঠে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সর্বনি¤œ দলীয় স্কোর ১০৭ রান তুলে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তবে বৃষ্টির সুবাদে ম্যাচটি ড্র হয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সুখের স্মৃতিও আছে বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর একই মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে ২০৩ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। এখানেই শেষ নয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৫৬০ রান। ২০২০ সালে ঘরের মাঠে মুশফিকের ডাবল ও মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে এই রান করে বাংলাদেশ। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান মুশফিকের। শুধু ব্যাটসম্যানরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছে এমনটি নয়। ২০১৪ সালে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
এদিকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দলে থাকায় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল জানিয়েছেন, বিদেশে যে কোনো দলের সঙ্গে খেলা সহজ নয়। শুধু জিম্বাবুয়ে না, যে কোনো দলের সঙ্গেই যখন অ্যাওয়েতে খেলব তখন ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন দিকটাই ভালো করতে হয়। সেই সঙ্গে ফোকাস রাখতে হয়। আর টিম ওয়ার্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে ভালো করলে আশা করি টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারব। তাছাড়া কন্ডিশন আমাদের কাছে একই মনে হচ্ছে। প্রস্তুতি ম্যাচে যেমন কন্ডিশন ছিল, মূল ম্যাচেও তেমন থাকবে আশা করি। এখানে আসার পর অনুশীলন করেছি। প্রস্তুতি ম্যাচটাতে সবাই খুব ভালো করেছে। তাই যে ঘাটতি ছিল, সেটা এখন নেই। আশা করি, টেস্ট ম্যাচটা ভালো কাটবে। সব চাপ জয় করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে ভালো করতে উন্মুখ হয়ে আছি আমরা। এছাড়া তামিম ইকবালকে নিয়ে কোনো সুসংবাদ দিতে পারেননি টাইগার টেস্ট দলপতি। আজ তিনি খেলবেন কিনা তা ম্যাচের আগে জানা যাবে। তবে মুশফিকুর রহিম খেলছেন সে কথা বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়েই বলেছেন অধিনায়ক। এ বিষয় মুমিনুল বলেন,তামিম ভাইয়ের ইনজুরি কনসার্নের কারণে আমাদের দেরি করতে হচ্ছে। উনি শুধু আপনাদের জন্য নয়, আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অপেক্ষা করছি। তবে মুশফিক ভাই খেলবেন, উনি সুস্থ।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট মাঠে গড়ানো আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি জিম্বাবুয়ে দলের নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা ক্রেইগ আরভিন। এ বিষয় জিম্বাবুয়ে দলটির মিডিয়া ম্যানেজার ডার্লিংটন জানিয়েছেন, নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন ২০ জনের স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু তারা দলে যোগ দিতে পারেননি। কোভিড আক্রান্ত স্বজনের সংস্পর্শে যাওয়ায় তারা দুজনই এখন সেলফ আইসোলেশনে আছেন। উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেবেন ব্রেন্ডন টেইলর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শেষে তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই। আর তিন ম্যাচ সিরিজের টি- টোয়েন্টি ২৩,২৫ ও ২৭ জুলাই। সব ম্যাচ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়