অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল : সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

আগের সংবাদ

কারিগরি কারণে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে ধীরগতি

পরের সংবাদ

এক দশক পর কোয়ার্টার ফাইনালে আজলা

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রায় এক দশক আগে পেশাধার টেনিসে পদচারণা ক্রোয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান টেনিসার আজলা তমালজানভিচের। প্রায় একই সময়ে গ্রান্ড স্লামেও অভিষেক হয় তার। এক দশকের প্রচেষ্টার পর গ্রান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি। উইম্বলডন ওপেনের শেষ ষোলোয় গতকাল আজলা যুক্তরাজ্যের এমা রাদাকানুর বিপক্ষে জয় পেয়েছেন ওয়াকওভারে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৬-৪ ও ৩-০।
এ জয়ের পর যারপরনাই অবাক হয়েছেন আজলা। ওয়াকওভার করা এমার জন্য তা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন ২৮ বছর বয়সি সুন্দরী। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘সত্যিই আমি অনেক অবাক হয়েছি। ওয়াকওভার করায় এমাও হয়তো কষ্ট পেয়েছে। ব্রিটিশ হিসেবে নিজেদের মাটিতে খেলা অবিশ্বাস্য। তাই তার জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে। আশা করেছিলাম ম্যাচটা শেষ করতে পারব। তবে এটা খেলা। খেলায় এমন অনেক কিছুই ঘটে। তার জন্য আমার শুভকামনা থাকল।’ আজলা যোগ করেন, ‘দুজনের জন্যই ম্যাচের শুরুটা ভালো ছিল না। উভয়েই অস্বস্তিবোধ করছিলাম। তবে প্রথম সেটের এমা আর আমার খেলা হচ্ছিল দুর্দান্ত। আমি আত্মবিশ্বাস আর জোর খুঁজে পেয়েছিলাম, যতক্ষণ ওর সমস্যা হচ্ছিল না।’
ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে পাকস্থলিতে ব্যথা অনুভূত হয় এমার। যে কারণে ওয়াকওভার করে ফেলেন ১৮ বছর বয়সি টেনিসার। পরে জানা যায়, পাকস্থলির সমস্যা না, এমা ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়। সেটিই তাকে বিদায় করে দেয় উইম্বলডনের শেষ ষোলো থেকে।
তমালজানভিচ এর আগে কখনোই গ্রান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ পৌঁছেছিলেন শেষ ষোলোও, সেটাও ২০১৪ সালে। ২০১২ সাল থেকে গ্রান্ড স্লাম যাত্রা শুরু হয় এই সুন্দরীর। এরপর বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডের জুজু যেন কাটাতেই পারছিলেন না তিনি, যা টিকে থাকে প্রায় সাত-আট বছর। এবার উইম্বলডনে অংশগ্রহণ করে সে বাধা পেরোলেন আজলা।
মেয়েদের টেনিসের ডাবলেও খেলেছেন আজলা তমালজানভিচ। এই বিভাগেও মাত্র একবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছেন তিনি, তাও সেটা ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এছাড়া তার তৃতীয় রাউন্ডে খেলার রেকর্ড আছে তিনবার, একবার উইম্বলডন ওপেনে ও দুবার ইউএস ওপেনে। মেয়েদের এককে তার বর্তমান টেনিস র‌্যাঙ্কিং ৭৮, সর্বোচ্চ পৌঁছেছিলেন ৩৯ নম্বরে। ডাবলে বর্তমান র‌্যাঙ্কিং ১১০ ও সর্বোচ্চ ৪৭।
১৯৯৩ সালে ক্রোয়েশিয়ার জাগরেভে জন্ম আজলা তমালজানভিচের। বোন হানার পদচারণা অনুসরণ করে মাত্র ছয় বছর বয়সে টেনিসে হাতেখড়ি হয় তার। তার বোন তখন ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়াতে টেনিস খেলতেন। ১৩ বছর বয়সে ফ্লোরিডায় স্থানান্তরিত হয়ে পুরোদমে টেনিস খেলতে শুরু করেন তিনি, যা এখনো চলছে। আজলার জীবনটাও নাটকীয়তায় মোড়া। শুরুর দিকে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করলেও ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তার পরিচয়ও বদলে যায়। এখন তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেনিসার। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের পর সে দেশের জনপ্রিয় তারকা নিক কিরগিওসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন তিনি। পরের বছরই সম্পর্কোচ্ছেদ ঘটলে তার প্রণয় শুরু হয় ইতালিয়ান টেনিসার মাতেও বেরেত্তিনির সঙ্গে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়