কাল থেকে শুরু কুরবানির পশুর ডিজিটাল হাট

আগের সংবাদ

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনীহা

পরের সংবাদ

২৯ বছর পর স্বপ্নের সেমিতে ডেনমার্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। ভোরের আকাশ বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে। গতকাল উয়েফা ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্ক ও চেক রিপাবলিকের ম্যাচ দেখেও স্পর্ট হয়েছে কারা জিতবে। গতকাল আজারবাইজানের বাকু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চেক রিপাবলিককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ডেনমার্ক। আর এর মাধ্যমে ১৯৯২ সালের পর অর্থাৎ ২৯ বছর পর প্রথমবারের মতো সেমির টিকেট পেয়েছে তারা। সে বছর ডেনমার্ক ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয় করেছিল। এরপর ২০০৪ সালে আবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেললেও সেমিতে জায়গা হয়নি। মাঝে ২০০৮ ও সর্বশেষ ২০১৬ আসরের মূল পর্বে খেলারও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ড্যানিশরা। এক আসর পর সুযোগ পেয়ে এবার শেষ চারে জায়গা করে নিল তারা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের এ ম্যাচে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিমন কায়ের বাহিনী। বিরতির পর প্যাট্রিক সিখ গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১। ব্যবধান কমানোর পর বেশ কিছুক্ষণ ড্যানিশদের বিপদসীমানায় আক্রমণ শানালেও কাজের কাজ করতে পারেনি জারোস্লাভ সিনহাভির শিষ্যরা। পরিচ্ছন্ন ফুটবল উপহার দিয়েছে উভয় দল। এ ম্যাচে রেফারিকে ঘন ঘন পকেট থেকে কার্ড বের করতে হয়নি। শুরুতে চেকরা চাপে থাকলে পরে গোলস ভেঙে বেরিয়ে এসে ব্যবধান কমিয়েছে। শুরুতে ড্যানিশরা বড় জয়ের পূর্বাভাস দিলেও বিরতির পর চেক রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
ম্যাচটিতে মাত্র পাঁচ মিনিটের সময় থমাস ডিলানি গোল করে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন। এরপর ৪২ মিনিটের সময় কাসপার ডোলবার্গ দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০। মাহেলি স্প্রিংসের অসাধারণ ক্রসে বল আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠান তিনি। চেক রিপাবলিক প্রথম গোলটি শোধ করে ৪৯ মিনিটের সময়। গোলটি করেন প্যাট্রিক সিখ (২-১) । এই গোলের মাধ্যমে তিনি টুর্নামেন্টে পঞ্চম গোলটি করেন। এর মাধ্যমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর করা পাঁচটি গোল ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু হেরে বিদায় নেয়ায় রোনালদোকে টেক্কা দিয়ে সর্বোচ্চ গোলের আসন দখল হলো না তার।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটের সময় ডেনমার্কের ইউসুফ পোলসনের বুটের আঘাতে মাথায় আঘাত পান চেক রিপাবলিকের সুসেক ও সেলুসকা। এই আঘাতে মাঠ ছাড়েন সেলুসকা। কিন্তু সুসেক মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে খেলতে থাকেন।

এমনকি ম্যাচের শেষের দিকে প্রায় একটি গোলও করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য করতে পারেননি ডেনমার্কের গোলরক্ষক কাসপার সিমিকেলের কারণে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ১০টি গোল করেছিল ডেনমার্ক। আর এবারের ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ১১টি গোল করেছে তারা। যা তাদের ইতিহাসে কোনো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
এর আগে ইউরোতে আরো দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল চেক রিপাবলিক ও ডেনমার্ক। আর এ দুই দেখাতেই চেকরা জয় তুলে নিয়েছিল। ইউরোতে তারা প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০০ সালে। সেবার ডেনমার্ক হারে ২-০ গোলের ব্যবধানে। এরপর ২০০৪ সালে লড়াই হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার ড্যানিশরা আরো একটি বেশি গোল হজম করে হারে ৩-০ ব্যবধানে। এবার তৃতীয় দেখায় বদলা নিল ড্যানিশরা। ইংল্যান্ডও ইউক্রেন ম্যাচে যারা জিতবে তাদের সঙ্গে সেমিফাইনালে খেলবে ডেনমার্ক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়