সীমিত লকডাউনে নগরবাসীর দুর্ভোগ

আগের সংবাদ

অকারণে বের হলেই জেল

পরের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ কার্যকর হোক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘মহাসড়ক আইন, ২০২১’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে নতুন এ আইন হচ্ছে। আমরা আশা করছি নতুন আইনটি এবার আলোর মুখ দেখবে। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের আগস্টে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ পাস করা হয়। নতুন আইনে জরিমানা ও বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়েছিল। একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে আইনটি সংশোধনের ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও আইনটির সংশোধন কিংবা বিধি কিছুই হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা এখন অন্যতম জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে আইনটি কার্যকরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু একটি জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো এবং দুর্ঘটনাকেন্দ্রিক অপরাধের বিচার ও শাস্তি প্রদানের জন্য একটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ আইনের প্রত্যাশা অনেক পুরনো। জানা গেছে, দেশের সড়কগুলোর ব্যবস্থাপনায় নতুন এই আইন করা হচ্ছে। সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট সুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে। মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সময় এই কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি ও মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য মানুষের বাড়ির কত দূর পর্যন্ত যাওয়া যাবে- তা আইনে বলে দেয়া আছে। বিধি দিয়ে নির্ধারণ করে দেয়া হবে হাইওয়েতে সিএনজি বা রিকশা উঠতে পারবে কিনা। সড়ক, মহাসড়কের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটা এই আইনের মাধ্যমে করা হবে। মহাসড়কে তিন চাকার যানই শুধু নয়, ভটভটি, নছিমন-করিমন ও এ জাতীয় ধীরগতির যান এবং অযান্ত্রিক যান কার্যত দখল করে হাটবাজার বসানোসহ আরো নানা ধরনের উপদ্রব বড় ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। তাই অটো, টেম্পো, রিকশা এবং এ ধরনের কম গতিসম্পন্ন বাহন দমন জরুরি। মহাসড়কে দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হলো এসব যানবাহন। লক্ষণীয়, জাতিসংঘের যেসব সদস্য রাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল, তার একটি বাংলাদেশ। অঙ্গীকার পূরণ দূরে থাক, বরং দিন যত যাচ্ছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। আধুনিক, মানসম্পন্ন ও নিরাপদ সড়ক পরিবহন যে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকেও গতিশীল করে। পরিবহন খাত এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক যোগাযোগ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় এখন পরিবহনে যুক্ত। তাই সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এজন্য সময়ের ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন আইনে যে বিষয়গুলো সংযোজিত হয়েছে, তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি মনে করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়