১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

শনাক্ত ছাড়াল ২০ শতাংশ : ৩ বিভাগের হাসপাতালে মিলছে না বেড

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে করোনা সংক্রমণের পর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। মাঝে এক মাস কিছুটা কমতির ধারা দেখা গেলেও পরিস্থিতি আবারো সেই উদ্বেগজনক অবস্থার দিকেই যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ২০ শতাংশ।
গত ৭ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়। ওই দিন শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী। আর ১৯ এপ্রিল ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। চলতি জুন মাসে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ওঠানামা করলেও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ১৩ এপ্রিলের পর দেশে সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী শনাক্ত এবং ২৯ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭২৭ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। এর আগে ১৩ এপ্রিল ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের এবং ২৯ এপ্রিল ৮৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি হাসপাতালে বেড খালি নেই। বেড সংখ্যা অনুপাতে সেখানে রোগীর সংখ্যা বেশি। রাজশাহীর ১০টি হাসপাতালে মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আধুনিক সদর হাসপাতাল নাটোর, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বেডের অনুপাতে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা বেশি। খুলনার ১০টি হাসপাতালের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতাল কুষ্টিয়া এবং রংপুরের ১২টি হাসপাতালের মধ্যে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড অনুপাতে বেশিসংখ্যক করোনা রোগী ভর্তি আছে।
এদিকে ঢাকার ৬টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই। এর মধ্যে সরকারি চারটি ও বেসরকারি ২টি। যেসব হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি নেই সেগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ইউনিট-২) ও বার্ন ইউনিট, ৫০০ বেডের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৫০০ বেডের মুগদা জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতাল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে ২৮ হাজার ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ দিনের শনাক্ত ৪ হাজার ৮৪৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২ হাজার ৬৯৫ জন, ময়মনসিংহের ১৩৪ জন, চট্টগ্রামের ৬৭৭ জন, রাজশাহীর ৮৭৪ জন, রংপুরের ২৬৬ জন, খুলনার ৯০৩ জন, বরিশালের ৮৩ জন এবং সিলেট বিভাগের ১২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৫ জনের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ আর ৩০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১০ জন বাসায় মারা গেছেন। আর মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ১ জনকে। বয়স বিবেচনায় ত্রিশোর্ধ্ব ১০ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৪৬ জন। এদের মধ্যে ৩৬ জন খুলনা, ১৯ জন ঢাকা, ১৮ জন রাজশাহী, ৭ জন চট্টগ্রাম, ৩ জন ময়মনসিংহ এবং বাকি ২ জন বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়