১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

বিশ্লেষণ : আলমগীর শামসুল আলামিন > অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখা উচিত

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে অর্থনীতিতে গতি এসেছে। তাই বিনা প্রশ্নে চলতি বাজেটের ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চান রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি বলেন, এত বেশি ট্যাক্স দিয়ে কেউ অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। তখন টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, আবাসন খাতে ৩৫ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ খাতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভেবে-চিন্তে নেয়া উচিত। কারো উপদেশ বা সমালোচনার কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলে দেশ ও দেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আবাসন খাতের ব্যবসায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের বিদ্যমান নীতি সহায়তার সুফল মিলছে জানিয়ে আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, গত বাজেটে এক বছরের জন্য বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছিল পুঁজিবাজার এবং আবাসন খাতে। সরকারি হিসাব মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হয়েছে। এ টাকাগুলো

বিনিয়োগের সুযোগ করে না দিলে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত।
আবাসন খাতের এ নেতা বলেন, করোনা মহামারির শুরুর পরে আমরা মনে করেছিলাম এ খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমাদের এ খাত রক্ষা পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছেÑ জমির রেজিস্ট্রেশন খরচ কমানো এবং অপ্রদর্শিত আয় বিনা প্রশ্নে এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়া। যা কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে কার্যকর ভ‚মিকা রেখেছে। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, এ নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে আরো বহুগুণ টাকা অর্থনীতির মূলধারায় যোগ হবে। আমাদের দাবি, আগামী বাজেটে এ সুযোগ অব্যাহত রাখা।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, দেশবাসী যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায় সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদি একটি তহবিল গঠন আমাদের প্রাণের দাবি। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই খাতে নিবন্ধন ব্যয় আরো কমানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছর বিভিন্ন খাত-উপখাত মিলে এই রিয়েল এস্টেট সেক্টর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জমা হয় প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব।
ঢাকায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বেশিরভাগ ফ্ল্যাট ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের মে মাসে প্রায় ১১ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রিত অবস্থায় ছিল। মহামারির মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ তৈরি অ্যাপার্টমেন্ট বানানোর ঝুঁকি নিইনি। তবে সরকারের নীতিনির্ধারণী সহায়তার কারণে চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে চাহিদার বিপরীতে সম্পূর্ণ তৈরি অ্যাপার্টমেন্টের ঘাটতি আছে। গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে প্রায় দুই হাজার ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়