১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

বিশে^র মানচিত্র থেকে মুছে যাবে পাকিস্তানের নাম

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবিভর্‚ত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভ‚মিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।
ঢাকায় প্রেস কনফারেন্সে একজন সাংবাদিক শেখ মুজিবকে জিজ্ঞেস করলেনÑ যদি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকশ্রেণি আপনার দাবি না মানেন, যদি তারা দমননীতির অস্ত্রাঘাত করেন তবে আপনি কী করবেন? শেখ মুজিব বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে উত্তর দিয়েছিলেন : তারা হয়তো সাময়িকভাবে সফল হবেন। কিন্তু তারপর বিশে^র মানচিত্র থেকে পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব চিরকালের জন্য মুছে গেলে নিশ্চয়ই আমাকে দায়ী করা হবে না। প্রকৃতপক্ষে ছয় দফা ছিল বাঙালির নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্বাধীনতা অর্জনের কৌশলমাত্র।
বাঁধাধরা নকশার ব্যতিক্রম : পাকিস্তানের সামরিক আমলাতন্ত্র বুঝতে পেরেছিল যে, পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির সরকার গঠনের অর্থই হলো কেন্দ্রীয় শাসন ক্ষমতায় বাঙালি নেতৃত্বের প্রাধান্য এবং তাদের একচেটিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা ক্ষুণœ হয়ে যাওয়া। সুতরাং কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য তাদের সামনে একমাত্র পথ খোলা ছিল তা হলো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবিকে বানচাল করে দেয়া এবং তার মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বাঙালি নেতৃত্বকে বিতাড়িত করা। প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছিলেন ঘোরতর বিরোধী।
সেজন্য বাঙালি উঠতি বুর্জোয়াদের মেরুদণ্ড সোজা করে রাখা এবং প্রতিনিধিত্বশীল নেতাদেরকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য যে কোনো প্রকার নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় অংশীদারত্ব নয় বরং তাদের আজ্ঞাবাহী একটি রাজনৈতিক দালাল

গোষ্ঠী তৈরিতেই তারা তৎপর ছিল। সেজন্য পূর্ব পাকিস্তানে তারা দালাল শ্রেণি তৈরি করেছে, বশংবদ শ্রেণিকে কেন্দ্রীয় শক্তি বলয়ের বাইরে রেখে আজ্ঞাধীন করে রাখা হয়েছে সব সময়। এই আজ্ঞাধীন বলয়ের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ দশকের উঠতি অনেক বাঙালি নেতাই নিজেদের আত্মতৃপ্ত মনে করেছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে ব্যতিক্রম ছিলেন শেখ মুজিব। এই শ্রেণির নেতাদের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানই বুঝেছিলেন, প্রচলিত রাজনীতির বাঁধাধরা নকশা অনুসরণ করে আইয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই গড়ে তোলা যাবে না।
আগামীকাল প্রকাশিত হবে
‘বিচ্ছিন্নতাবাদের বøুপ্রিন্ট’
‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’Ñ বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এছাড়া সংগ্রহ করা যাবে নযড়ৎবৎশধমড়লঢ়ৎড়শধংযধহ.পড়স থেকেও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়