কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে এক পুলিশ কনস্টেবল মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১১ খেলোয়ারের মধ্যে পাঁচজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক মোহা. হাসানুজ্জামান এ জামিন দেন। এ ঘটনায় ছয় খেলোয়াড় ও এক কোচকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার দুপুরে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মাইনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলায় জামিন পেয়েছেন হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আব্দুল আল জাহিদ (১৬), নিউ কলোনি এলাকার ফারহানা খন্দকার (১৭), কয়েরদাড়া এলাকার রিমি খানম (১৭), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার জেমি আক্তার (১৪) এবং মহানগরীর শাহ মখদুম থানার মোড় এলাকার বৃষ্টি মণি (১৬)। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর পাচানি মাঠ এলাকার আলী আজম (১৯), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আকাশ আলী মোহন (২০), জিন্নানগর এলাকার আহসান কবীর (৪৫), জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার খাদিজা খাতুন (১৮), রাজশাহী নগরীর বখতিয়ারবাদ মালদা কলোনি এলাকার পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), ছোটবনগ্রাম উত্তরপাড়ার দিপালী (১৯), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাবরিনা আক্তার (১৯) এবং হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার রমজান (১৯)।
এর আগে গত রবিবার সকাল ৬টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়া ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়া ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেন থেকে নামার সময়ে ওই ১১ খেলোয়াড় জটবেঁধে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ পরিস্থিতি দেখে জয়া এবং তার স্বামী খেলোয়াড়দের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে এ দম্পতির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান খেলোয়াড়রা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশ কনস্টেবল এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারধর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী বাদী হয়ে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।