রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

দর্শক হিসেবেই কাতারে মানে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চোট আক্রান্ত সাদিও মানেকে নিয়েই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে। তাতেও কোনো লাভ হলো না। কিছুদিন আগেও বলা হয়েছিল কাতারে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারবেন না মানে। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো কাতার বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন মানে। দর্শক হিসেবেই কাতার বিশ্বকাপ দেখতে হবে তাকে।
গত পরশু কাতার থেকেই সেনেগাল ফুটবল ফেডারেশন জানায়, মানের যে ইনজুরি দেখা যাচ্ছে, তাতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। না হয় এই ইনজুরি সেরে ওঠা সম্ভব নয়। এর অর্থ বিশ্বকাপে আর মাঠেই নামতে পারবেন না তিনি। এর আগে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলার সময় ডান পায়ের মাংশপেশি এবং হাঁড়ে চোট পান তিনি। এরপর নিজস্ব চিকিৎসককে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল সেনেগাল ফুটবল কর্তৃপক্ষ। স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল তাকে। সেনেগাল টিম ডাক্তার ম্যানুয়েল আফোনসো বলেন, আমাদের কাছে সর্বশেষ যে সংবাদ, তা হলো গত ৮ নভেম্বর যে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মানে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরের দিন ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে তার এমআরআই রিপোর্ট পাঠিয়ে যোগাযোগ করে। যেখানে দেখা গিয়েছিল তার একটা ইনজুরি রয়েছে ডান হাঁটুতে। এরপর আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্তই নিই। এরপর আমি ১০ নভেম্বর জার্মানি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যাতে মানের ইনজুরি সম্পর্কিত সব তথ্য একসঙ্গে করতে পারি। অবশেষে আমরা আবারো সিদ্ধান্ত নেই আরেকটি এমআরআই করানো হবে। যাতে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হতে পারে যে মানে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি পারবেন না।
তবে দুঃখের সঙ্গেই জানাতে হচ্ছে যে, নতুন এমআরআইতে যা দেখা যাচ্ছে তাতে তার পক্ষে বিশ্বকাপ খেলা মোটেও সম্ভব নয়। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম, অল্পতেই সেরে যাবে মানের ইনজুরি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- মানে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না এবং খুব দ্রুতই তার পায়ে অস্ত্রোপচারের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সাদিও মানের কল্যাণে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেনেগাল। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের আসর নেশন্স কাপে মানের হাত ধরেই মিসরকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে সেনেগাল। আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি তিনটি গোল করেন মানে। টাইব্রেকারের জয়সূচক গোলও আসে তার পা থেকে। এরপর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আবারো মিসরকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করে সেনেগাল। এবারও নায়ক মানে। তার গোলেই খোলে বিশ্বকাপের দরজা। জাতীয় দলের হয়ে ৯৩ ম্যাচে ৩৪টি গোল আছে এই ফরোয়ার্ডের। বর্তমান সময়ে আফ্রিকার অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে বিবেচিত মানে।
আফ্রিকা অঞ্চলের দুইবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবও জিতেছেন তিনি। এবার কাতারে তিনি থাকবেন দর্শক হিসেবেই। এর আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন পল পগবা, এনগোলো কান্তে ও মার্কো রয়েস। এই তারকাদের মতো পুরো বিশ্বকাপ দর্শক হয়েই কাটাতে হবে ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। আগামী ২১ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে সেনেগাল। এ-গ্রুপে নেদারল্যান্ডস ছাড়াও তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে স্বাগতিক কাতার এবং ইকুয়েডর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়