জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত : তুমব্রু সীমান্তে থমথমে অবস্থা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে : বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মাদকপাচারকারীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনার পর এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সীমান্তের উভয় দিকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরের কাউকেই এখন বাইরে আসতে দেয়া হচ্ছে না। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতরা হলেন- অভিযানে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান (৩৪) ও রোহিঙ্গা শিবিরের নারী সাজেদা বেগম (২০)। এছাড়া র‌্যাব সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরো ৩ রোহিঙ্গা। ঘটনার পরপরই হতাহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাদক পাচারকারীদের একটি চক্র তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করছে- এ খবর পেয়ে সেখানে সন্ধ্যার দিকে র?্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় রোহিঙ্গা শিবির থেকে মো. জামাল নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। ঘটনার পরেই অভিযানকারী র?্যাবের দলটির উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে মাদক পাচারকারীরা।
রোহিঙ্গা শিবিরের দলনেতা দিল মোহাম্মদ ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার অংশের তুমব্রু লেফ্ট ক্যাম্প অংশ থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি করা হয়। এ সময় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়।
ঘটনার পর বিজিবি ও র?্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে স্কোয়াড্রন লিডার রেজওয়ানের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার ও উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক অবস্থায় বিরাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর জনসাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার রাত ১টায় আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র‌্যাবের একজন সদস্য আহত হন।
আহত র‌্যাব সদস্যের মাথায় অস্ত্রোপচার : ঢামেক প্রতিবেদক জানান, বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত র‌্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া (২৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার রাতে তাকে বান্দরবান থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
হাসপাতালে সোহেলের খালাতো ভাই অশোক বড়ুয়া জানান, সোহেল চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাখাল বড়ুয়ার সন্তান। তিনি একজন পুলিশ সদস্য, তবে বর্তমানে র‌্যাব-১৫তে কর্মরত রয়েছেন। অশোক জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে সোহেলকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় আঘাত রয়েছে। এছাড়া তার ডান পায়েও আঘাত রয়েছে। সকালে জরুরিভাবে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাকে।
নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে এলাহী (মিলাদ) বলেন, সোহেলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া ডান পায়েও আঘাত রয়েছে। সকালে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। পায়ের আঘাতটি ক্যাজুয়ালটি বিভাগ দেখবে। তবে এখন তিনি স্টেবল (স্থিতিশীল) আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়