সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ : সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সারওয়ার হোসেন এবং ওই ইউনিয়নের লাভলী আক্তার নামে সাবেক এক মহিলা সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাহিদুল আলম খান ওরফে সোলায়মান খান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও তৎকালীন মহিলা ইউপি সদস্যকে অভিযুক্ত করে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাহিদুল আলম খান ওরফে সোলায়মান খান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগীর দাদা ছাদত আলী খান মৃত্যুকালে প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত দুই ছেলে কাজম আলী খান ও ফজর আলী খান এবং গোলাপজান নামে এক মেয়ে রেখে যান। এছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রী কদবানু ও তার গর্ভজাত এক ছেলে নজম উদ্দিন খান, দুই মেয়ে আলেকা বেগম ও আনেছা বেগমকে রেখে যান। দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান নজম উদ্দিন খানের উত্তরাধিকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে উত্তরাধিকার সনদের আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফারুক খানের যাচাই বাছাই ও স্বাক্ষর ছাড়াই ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন মহিলা সদস্য লাভলী আক্তারের স্বাক্ষর নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর উত্তরাধিকার সনদ প্রদান করেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারওয়ার হোসেন। ওই সনদে প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত দুই সন্তান ফজর আলী ও গোলাপজানকে বাদ দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত ছেলে কাজম আলী খানের উত্তরাধিকার সাহিদুল আলম খান ওরফে সোলায়মান খান বাদী হয়ে চলতি বছরের ৬ অক্টোবর গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার অভিযুক্তরা হলেন- জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী সারওয়ার হোসেন, তৎকালীন মহিলা ইউপি সদস্য লাভলী আক্তার, মজিবুর রহমান খান, সুলতান উদ্দিন খান, রুহুল আমিন খান, আকবর আলী মিয়া। এরা সবাই জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া মামলার আরেক অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাগর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন মহিলা ইউপি সদস্য লাভলী আক্তার বলেন, ‘যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, সেহেতু আমার জবাবটা আদালতেই দেয়া উচিত। তবুও বলছি আগের সনদটি ছিল এনালগ। তারা ডিজিটিাল সনদ করার জন্য ইউনিয়ন অফিসে আসে। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব তাদের জমির সব কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমাকে বলে স্বাক্ষর করতে। আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কথার ওপর ভিত্তি করে ওই সনদে স্বাক্ষর করি।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফারুক খান বলেন, এক পক্ষ আমার কাছে আসে উত্তরাধিকার সনদের জন্য। আমার কাছে সব বিষয় একটু ঘোলাটে মনে হওয়ায় আমি তাদের ওই সনদ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করি এবং তাদের পরামর্শ দিই, তারা যেন ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। এর কিছুদিন পরেই জানতে পারি তারা কীভাবে যেন উত্তরাধিকার সনদের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। ওই সনদে আমাকে স্বাক্ষর করতে বললে, আমি আবার তাতে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি প্রকাশ করি। এ বিষয়ে আমার আর কিছুই জানা নেই।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সারওয়ার হোসেন বলেন, বাদী পক্ষ আমার এলাকার বাসিন্দা। এখানে যাদের উত্তরাধিকার সনদের দরকার ছিল, তারা প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে আমার কাছে আসে। জমির এসএ, আরএস, সিএসসহ সব কাগজেই তাদের নাম থাকায় আমি তাদের উত্তরাধিকার সনদটিতে স্বাক্ষর করি। তারপরও যদি কোথাও ভুল থাকে, তাহলে তারা সংশোধনীর জন্য আসতে পারত কিন্তু তারা তা করেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়