প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৮ রান করে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এর আগে রেকর্ডটি তারই সতীর্থ বাবর আজমের দখলে ছিল। দুজনই নিজেদের ৫২ ইনিংসে এসে এই রেকর্ডের দেখা পান।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে রয়েছেন রিজওয়ান। কিছুদিন আগে বাবর আজমকে হটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর স্থান দখল করেন এই ক্রিকেটার। গত বছর এপ্রিলে বাবর আজম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫২ ইনিংসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বিরাট কোহলিকে হটিয়ে তিনি এই রেকর্ডটি করেন। তখন থেকে বাবরই দ্রুততম ২০০০ রান সংগ্রাহক।
তবে তার এই রেকর্ডে ভাগ বসালেন রিজওয়ান। নিজের ৫২তম ইনিংসে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ইনিংস বিবেচনায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবর ও রিজওয়ান এখন যৌথভাবে দ্রুততম ২০০০ রান সংগ্রাহক। রিজওয়ান এই পথে পেছনে ফেলেছেন কোহলি, রাহুল ও ফিঞ্চকে। কোহলি ক্যারিয়ারের ৫৬তম ইনিংসে, রাহুল ৫৮তম এবং ফিঞ্চ ৬২তম ইনিংসে ২০০০ রানের দেখা পেয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায় ইংল্যান্ড।
সেখানে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে হারে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতেদ নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ বলে ৬৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায় বাবরের রেকর্ডটি স্পর্শ করেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ফিফটি তুলে নেয়ার ইনিংসটি খেলার পথে রেকর্ড বইয়ের একটি পাতায় বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। নিজের রেকর্ড করা দিনে জিততে পারেনি তার দল। কোহলির ৮ বছর ২১ দিনে এই মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন। রাহুলের লেগেছে ৬ বছর ৯৪ দিন এবং ফিঞ্চের সময় লেগেছিল ৯ বছর ২৩৬ দিন। সময়ের হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাবর। এই মাইলফলক গড়তে বাবর সময় নিয়েছে ৪ বছর ২৩০ দিন। রিজওয়ানের এই রেকর্ড গড়তে সময় লেগেছে ৭ বছর ১৪৯ দিন। ম্যাচ হিসেবে ৬৩তম ম্যাচে এসে এই মাইলফলকের দেখা পেলেন রিজওয়ান। তবে তার চেয়ে কম ম্যাচ খেলে বিরাট কোহলি (৬০), লোকেশ রাহুল (৬২) ও অ্যারন ফিঞ্চ (৬২) এই রেকর্ডটি করেছেন।
পাকিস্তান ইংল্যান্ড ম্যাচে আবারো ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। যে কারণে র্যাঙ্কিংয়ে আরো অবনতি হয়েছে এই ওপেনারের। কিছুদিন আগে তার সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে শীর্ষস্থান খুইয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে তাকে পেছনে ফেলেছেন ভারতের ব্যাট্যার সূর্যকুমার যাদব।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এইডেন মার্করাম। র্যাঙ্কিংয়ের অন্য বদলগুলোর মধ্যে বিরাট কোহলি (১৬) এক ধাপ নিচে নেমে জস বাটলারের পরে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান লিটন দাস এক ধাপ উন্নতি করে ৫২তম। হার্দিক পান্ডিয়া দিয়েছেন বড় লাফ, অজিদের বিপক্ষে ৭১ রানে অপরাজিত থেকে ২৩ ধাপ এগিয়ে ৬৫তম ব্যাট্যার। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান দুই ধাপ নেমে ৭১। ভারতীয় ব্যাটসম্যান অক্ষর প্যাটেল ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩৩তম।
এদিকে ভারতের বিরাট কোহলিকেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেরা মনে করছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলির অপরাজিত সেঞ্চুরির পর খুব খুশি হয়েছিলেন মিয়াঁদাদ।
দীর্ঘদিন ফর্ম হারানো ভারতীয় তারকা যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফিরেছেন সেটা দেখে বেশ আনন্দিত জাভেদ মিয়াঁদাদ। এই কারণেই বাবর আজম বা মোহম্মদ রিজওয়ান নয় বিরাট কোহলির ওপরেই নিজের ভরসা রাখছেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সাবেক পাক তারকা বলছেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করার সম্ভাবনা রয়েছে বিরাট কোহলির। কারণ টি-টোয়েন্টিতে একটা ইনিংস কীভাবে গড়তে হয় সেটা বিরাটের থেকে ভালো আর কেউ জানে না। মিয়াঁদাদের মতে, বাবর এবং রিজওয়ান ভালো ব্যাটসম্যান হলেও ১৫ ওভার টিকে থেকে রান করার ব্যাপারে এগিয়ে থাকবেন বিরাট কোহলি।
এমনকি রোহিত শর্মার থেকেও এই জায়গায় বেশি পয়েন্ট পাবেন বিরাট কোহলি। মিয়াঁদাদ মনে করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুধু বড় বড় ছক্কা হাঁকানো নয়, দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর উপায় কী সেটা শিখতে হয় কোহলির কাছ থেকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।