উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : বাড়ি ফিরলেন দগ্ধ ৬ জন

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র বুঝে পান। এরপর বাড়ি ফিরে যান তারা। তাদের ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, ৬ জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা বর্তমানে ভালো আছেন। সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে তাদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই মোতাবেক আজকে দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মো. ফারুক, ফারুক হোসেন, মঈনউদ্দিন, মাগফারুল ইসলাম, মাসুম মিয়া ও ফরমানুল ইসলাম। তাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও চক্ষু বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আরো ১৫ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও উন্নতির দিকে।
মাগফারুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল হক জানান, ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাগফারুলের পশ্চাদাংশে পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন আইসিইউতে থাকার পর তাকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছুটা ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর জন্য মলম দিয়েছেন। তার চোখের সমস্যাটাও কেটে গেছে। আসাদুল আরো বলেন, মাগফারুলের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আমাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ৭ দিন পরে আবার বার্ন ইনস্টিটিউটে আসতে বলা হয়েছে।
এদিকে মো. ফারুকের ছেলে জাকারিয়া বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাদের ছুটি দিয়েছে। এখান থেকে নারায়ণগঞ্জে খানপুরে বাড়িতে যাব। পরবর্তি চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। পরে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ডিপোর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক। আহতদের অনেকেই এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়