ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তৎপর মোবাইল কোর্ট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মানাতে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরেও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়েনি। গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাস টার্মিনালে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বাসের যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকরা মুখে মাস্ক পরে নেয়। অথচ ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার আগে একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। কারো মধ্যে কোনো সচেতনতার লেশমাত্র ছিল না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন মনিরার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত-৫ মহাখালী বাস টার্মিনালের ভেতরে অবস্থানরত বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির যাত্রীবাহী বাসে উঠে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন। বাসগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। এ সময় সব বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সব যাত্রীকে বাসে ওঠা মাত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ জানান। বাসের চালক এবং তার সহকারীকে টিকা কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে সরকারের যে বাধ্যবাদকতা রয়েছে সেই বিষয়েও খোঁজ নেন। এ সময় মাত্র একজন বাসচালকের কাছে টিকা কার্ড পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪টি বাসকে জরিমানা করা হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের সৌখিন পরিবহন নামের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রীকে মাস্ক না পরায় ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, পরিবহন সেক্টরের চালক-শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত টিকা পায়নি। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেকেই টিকা দিতে পারেনি। অথচ ম্যাজিস্ট্রেট এসেই জরিমানা করে। এখন বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এক মাস পর এসব বাসের চালক এবং হেলপারের টিকা কার্ড থাকবে। এই সময় পর্যন্ত সময় দেয়া উচিত।
এদিকে জনসচেতনতার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও পরিস্থিতি আবার অল্প সময়ের মধ্যেই বদলে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট একটু দূরে সরে গেলেই লোকজন আবার মাস্ক খুলে ফেলে দেয়।
এদিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছে। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত সব যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। মাস্ক ব্যবহার না করায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়