দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন কলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আব্দুল সালাম। বিচারক আইভি আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বরাবর তদন্তের আদেশ দেন। বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তালুকনগর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ আলোচনা না করে কলেজের মাঠ দখল করে আজম খান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দোকানঘর তোলেন। এছাড়াও ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা না হওয়ায় ফরম ফিলাপের টাকা সরকার ফেরত দিলেও তিনি তা কোনো শিক্ষার্থীকে ফেরত না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন। বাদী তার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন কলেজের পুরনো একটি চৌচালা টিনের ঘর বিক্রি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেছেন। মামলার বাদী আব্দুল সালাম বলেন, আমরা অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার কাছে এসব অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্টো আমাদের হুমকি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেন। তালুকনগর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, একটা মফস্বলের কলেজে অর্থ আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি কোন অর্থ আত্মসাৎ করিনি। এখানে ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো বেতন দেয় না। আমার বিরুদ্ধে তারা যেসব অভিযোগ করেছেন তার প্রত্যেকটির রেজুলেশন রয়েছে। কলেজে নতুন ম্যানেজিং কমিটি হয়েছে। মূলত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য না পেরে অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।