আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

বাউফলে ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বালু উত্তোলন : হুমকিতে ফসলিজমি ও স্কুল ভবন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি সড়কে ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কামাল হোসেন নওমালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে বিষয়টি জানেন না দাবি করে ইউএনও জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অবৈধভাবে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে খালের পাশের ফসলি জমি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।
সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জৌতা গ্রামের আলেহা রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট পর্যন্ত ৭০০ মিটার পাকা সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শুরু করেনি ঠিকাদার জাফর তালুকদার। সম্প্রতি সাব ঠিকাদার হিসেবে নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল বিশ্বাস কাজটি এনে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জৌতা-নওমালা খালে বোমা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সড়কে দেয়া হচ্ছে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। বালু তোলার কাজ পরিচালনাকারী ড্রেজার মালিক বায়োজিদ মোল্লা জানান, সড়ক নির্মাণকাজের জন্য চেয়ারম্যান কামাল বিশ্বাস বালু উত্তোলন করাচ্ছেন। বিষয়টি ইউএনও জানেন। এলজিইডি সূত্র জানায়, সড়কের কাজে প্রায় ৩৩ হাজার ঘনফুট বালু লাগবে। প্রতি ঘনফুট ৮ টাকা মূল্য ধরে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। সড়কের জন্য বালু না কিনে স্বল্পমূল্যে ড্রেজার দিয়ে মাটির তলদেশ থেকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে খালের পাশের ফসলি জমি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না ওই প্রভাবশালী চেয়ারম্যান।
স্থানীয় আলতাফ হোসেন (৫০), সালাম মোল্লাসহ (৪৫) একাধিক বাসিন্দা জানান, খালে ড্রেজার বসিয়ে মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। তারা আরো জানান, প্রায় এক বছর আগে পাশের আরেকটি খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকায় অনেক ফসলি জমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, কোথাও কোথাও জমি নিচে ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব ঠিকাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান কামাল বিশ্বাস বলেন, মূল ঠিকাদার কাজ করছেন না। তাই তিনি কাজটি করছেন। ইউএনওকে জানিয়েই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও কাজের তদারকী কর্মকর্তা মো. আব্বাস বলেন, কাজের জন্য লোকাল বালু দরকার। ঠিকাদার সেটা সরবরাহ করবেন। কোথা থেকে কীভাবে করবেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়