আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

‘এখন আমার কী হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি থেকে : জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী শহিদুল খান (৪৬)। পিতা বাদশা খান ছিলেন নৌকার মাঝি। মানসিক অবস্থা ভালো থাকলেও তার দুই পা ছিল বিকলাঙ্গ। হাতে ভর করে পাছায় টিউব বেঁধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন শহিদুল খান। এই প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন তার স্ত্রী। বয়স যখন ৮ বছর সেই থেকে ঝালকাঠির গাবখান ফেরিঘাটে ও ফেরিতে ভিক্ষা করা শুরু করেন শহিদুল। গত ৪-৫ বছর ধরে তিনি নিয়মিত ভিক্ষা করতেন গাবখান সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজায়। তার আপন দুই ছোট ভাই সেতুর টোল প্লাজার কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
গত বুধবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো রামনগর গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র দুইশ গজ দূরত্বে গাবখান সেতুর টোলে ভিক্ষা করছিলেন শহিদুল। একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও ৩টি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে গেলে সেখানে গুরুতর আহত হন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক শহিদুল। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় শহিদুলের মৃতদেহ। আর কোনোদিন দেখা যাবে না শহিদুলকে ভিক্ষা করতে গাবখান সেতুর টোলে। গত বৃহস্পতিবার দাফনের পর শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী হেলেনা বেগম স্বামী হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। আড়াই বছর বয়সি ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে করুণ ভাষায় বিলাপ করে বলছেন, আল্লারে এখন আমার কী হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু, কেমনে বাঁচমু।
ও আল্লাহ তুমি এ কেমন বিচার করলা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়