আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

ঈশ্বরগঞ্জে মেম্বারের ছেলের পার্কে মাদক-জুয়ার আসর

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে : ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শৈলাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি পার্ক। পার্কে আটকে রাখা হয়েছে বন্যপ্রাণী, চলছে মাদক ও জুয়ার আসর। চলে উঠতি বয়সি প্রেমিক যুগলের অবাধ যাতায়াত। রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এদিকে স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলেই তাদের ওপর চলে নির্যাতন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শৈলাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে তার ছেলে সজিব মিয়া অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন পার্ক। পার্ককে আকর্ষণীয় করতে আটকে রাখা হয়েছে বানর ও মেছুয়া বাঘ, আছে বিভিন্ন প্রকার পাখিও। বাড়ির পেছনের দিকে ঝোপের মধ্যে রাখা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। বিশ্রামের জন্য আছে ঘর, বিছানা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লোকজনের যাতায়াত। সকালের দিকে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ৩০ টাকা টিকেটের বিনিময়ে প্রবেশ করে বিকালে বেরিয়ে যায়। পার্কটি চার উপজেলার সীমান্তবর্তী ও অজপাড়া গাঁয়ে নিরিবিলি পরিবেশে হওয়ায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা নান্দাইল, নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল এলাকার লোকজনের আছে অবাধ যাতায়াত। পার্কটি নিরিবিলি ও সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে চলে মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ঈদের পরদিন দুই দল যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় লাঞ্ছিত যুবক সোহেল জানায়, ছুটিতে পার্কে বেড়াতে এসে অপ্রীতিকর ঘটনার স্বীকার হয়েছি, যা আর প্রকশ করতে চাই না।
স্থানীয়রা জানান, মেয়ে-ছেলেরা এখানে এসে আড্ডা দেয়, প্রায়ই হাঙ্গামা হয়। অবৈধ কর্মকাণ্ড হলেও কেউ কিছু বলে না। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে। তাই এখন আর কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বাইরের লোকজনের যাতায়াত; হাঁকডাক আর হইহুল্লোড়।
পার্কের মালিক সজিব মিয়া বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান আমার চাচাতো ভাই। পিতা সাবেক মেম্বার, এক একর জমি বেচে পার্কটি দিয়েছি। ৩০ টাকা হারে টিকেট বেচা হয়। ঈদের সময় একটু লোকজন বাড়ে, কিন্তু সারা বছরই লোকজনের যাতায়াত থাকে। পার্কে অবৈধ কর্মকাণ্ড, মাদক, জুয়া খেলা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, চলেন ভেতরে বসি, ঠাণ্ডা মাণ্ডা খান, পরে কথা বলি।
আঠারবাড়ি রায়ের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক দিন হয় এখানে আছি, কিন্তু পার্ক আছে সেটি আমার জানা নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, দেখি কী হয়।
বন্যপ্রাণী আটক আছে বা মিনি চিড়িয়াখানা এ উপজেলায় আছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীন যারা তারা বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগীয় বন ও পরিবেশ কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়