বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি : বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার ঠিকাদার আশিকুর রহমান ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর ডিও লেটারের মাধ্যমে বাবুগঞ্জ রমজানকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চরডিজাইনের একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে। কাজটি টেন্ডার নিয়েছে মালাসি এন্টারপ্রাইজ। রমজানকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে স্কুল ভবনের জায়গা নির্ধারণের জন্য স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা রেজুলেশন করে গাছ কাটার আইনগত ব্যবস্থা নেয়। প্রধান শিক্ষক বিধিমোতাবেক গাছ নিলাম করে ওই জায়গায় স্কুল ভবন নির্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। তিনি মার্ক করে বন বিভাগকে দেন। বন বিভাগ সরজমিন গাছ মেপে মূল্য নির্ধারণ করে। গাছ নিলামে দেয়ার পূর্বে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ওই স্থানে স্কুল ভবন নির্মাণের ঠিকাদারের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঠিকাদার ৩ লাখ টাকা ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুনিরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি জিয়াউদ্দিন মনির জানান, রমজানকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাফ কিলোমিটার দূরে নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করার জন্য একটি পক্ষ পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু ওই জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় ও নদীসংলগ্ন হওয়ায় আমরা আগের জায়গায় রেজুলেশনের মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সহকারী শিক্ষা অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ওই স্কুল ভবন নির্মাণের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ঘুষ চাওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন।