রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ : মদনে দায়সারা মেলা, চলে ২ ঘণ্টা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : মদনে দায়সারাভাবে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছে। পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রদর্শনীতে প্রাণী নিয়ে আসা খামারিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় পাবলিক হল মাঠে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকা বাজেটে এ মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। প্রখর রোদের মধ্যে মেলার স্টলে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থা না করায় বিদেশি জাতের ফিজিসিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান গরুসহ পশুপাখি ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকে। ষাঁড় গরু নিয়ে আসা ছোট্টন মিয়া ও হৃদয় মিয়া বলেন, প্রচণ্ড রৌদ্রের মধ্যে ছিল আমার একটি বিদেশি গরু। ৩০ মিনিট যেতে না যেতেই গরুটি গরমে হাঁপিয়ে ওঠে। ছিল না ফ্যানের ব্যবস্থা। পরে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে মেলা বন্ধ হয়ে যায়।
মেলায় অংশ নেয়া সবাই একই অভিযোগ করেন। পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও আয়োজনের বেশ কিছু অসংগতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেলায় ৫০টি স্টল থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ১৬টি। পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে পরিচিত দেখে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগও উঠেছে। আরাফাত ইসলাম নামের একজন বলেন, অফিসের সঙ্গে পরিচয় নেই, কোনো সুবিধা নেই। ভালো কিছু করে এখানে পুরস্কার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে ফলাফল করা হয়েছে মুখ দেখে। বাজেট তো ভালোই পেয়েছে শুনলাম, তাহলে মেলার এই অবস্থা কেন?
এ মেলায় পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে। এছাড়া বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়েছে আরও তিনটি। সব মিলে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রথম পুরস্কার ২৯০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৪০০ ও তৃতীয় পুরস্কার ১৯০০ টাকা দেয়ার কথা। সব মিলে ১২ জনকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার ও সার্টিফিকেট দেয়ার কথা। কিন্তু অখ্যাত কোম্পানির একটি বালতি ও গরু খামারিদের ৩০০ টাকা, ছাগল খামারিদের ২০০ টাকা, হাঁস-মুরগি ও পাখি খামারিদের ১০০ টাকা দিয়ে বিদায় করা হয় অংশগ্রহণকারীদের। মেলায় দর্শনার্থী না থাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। বরাদ্দের একটি বড় অংশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাইরান ইকবালের পকেটে গেছে বলেও অভিযোগ করছেন খামারিরা।
এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাইরান ইকবাল বলেন, সব কিছু সত্য নয়। প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়