কাগজ প্রতিবেদক, মাদারীপুর : মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. নাজমুছ সাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে কলেজছাত্রীর পরিবার। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানাপুলিশ। মামলা, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেবরামপুর গ্রামের শাহাবুল বেপারীর ছেলে নাজমুছ সাকিবের সঙ্গে একই এলাকার ওই কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক তেরি হয়। এর সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীকে তার ঘরে একা পেয়ে জোর করে সাকিব ধর্ষণ করে বলে বলেন ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় মুরব্বিরা সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে, তিনি তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েক দিন পার হলেও কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপায়ান্ত না পেয়ে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাকিবসহ তার পরিবারের তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে থানাপুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। মামলার বাদী ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে সাকিব। কিন্তু এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছে না বলে ধর্ষকসহ তার পরিবারের তিনজনের নামে আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এলাকায় তাদের পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় বলেন, এ ঘটনা জানতে পেরে আমরা সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে সে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হলেও বিয়ে না করে সে ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ আরো আছে। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এসআই মো. ফয়সাল বলেন, কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই যুবতীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।