গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

সিলেটে দুর্যোগের বৃত্তে বন্দি হয়ে ঈদ কেনাকাটায় ভাটা : হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতারা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খালেদ আহমদ, সিলেট থেকে : চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সিলেটে লোডশেডিং বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে ঈদ কেনাকাটায়। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এমন দুর্যোগের বৃত্তে বন্দি হওয়ায় সিলেটে শেষ মুহূর্তে ভাটা পড়েছে ঈদর কেনাকাটায়।
মূলত সিলেটে গত ৩১ মার্চের পর থেকেই নিয়ম করে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে শুরু হচ্ছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানি। থেমে থেমে বৃষ্টি চলে মধ্যরাত পর্যন্তও। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হচ্ছে লোডশেডিংও।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটজুড়ে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শিলাখণ্ডের আঘাতে অনেকের বাসাবাড়ির টিনের চালা ছিদ্র হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় রাস্তায় থাকা যানবাহনের কাঁচ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। শিলাখণ্ডের আঘাতে মাথা ফেঁটে আহত হন অনেকে। এরপর থেকেই প্রতিদিন ইফতারের পর নিয়ম করে ঝড়-বৃষ্টি নামে সিলেটে। যা স্থায়ী হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে আটকা পড়েন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষজন। অনেকে বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বেরই হন না। এ দুর্যোগের মধ্যে চলছে আবার লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারে মিলেনিয়াম শপিং সিটির সামনে চাকরিজীবী আনহার আহমদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বৃষ্টির কারণে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখানে একটি দোকানে আটকা পড়েন তিনি। তিনি বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে একই সময়ে বৃষ্টি নামে সিলেটে। দিনে লোডশেডিং ও রোজা থাকায় বাইরে বের হওয়া হয় না। তারাবির পর আজ (রবিবার) যখন আসলাম তখন বৃষ্টি। শুধু বৃষ্টি হচ্ছে না, বৃষ্টির সঙ্গে যেভাবে শিলা পড়ে তাতে ভয় হচ্ছে।
এ অবস্থায় ঈদের ব্যবসায় লোকসান গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। নগরীর হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী দুলাল আহমদ বলেন, দিনে রোজা রেখে অনেকে কেনাকাটা করতে আসেন না। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে রাতেও মার্কেটে ক্রেতা আসছে না। এতে জমছে না ঈদ বাজার। এভাবে চলতে থাকলে প্রত্যাশিত ব্যবসা হবে না।
জিন্দাবাজারের ব্লু ওয়াটার শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, রোজার প্রথম ২০ দিন ব্যবসা ভালো ছিল না। বিক্রির টার্গেট ছিল শেষ ১০ দিনকে ঘিরে। কিন্তু এখন বৃষ্টির কারণে ক্রেতারা বাজারে আসতে চায় না। তার ওপর লোডশেডিং। সবমিলিয়ে ব্যবসা খুব একটা ভালো না।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, সিলেটের মূল শহর ও আশপাশের এলাকায় রাতে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আরো কয়েকদিন।
আর বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সিলেটে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। টানা ৫-৬ দিন ধরে সিলেটে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থা কতদিন চলবে তা জানা নেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের। তবে ঈদের আগে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং কমে আসবে বলেও জানান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়