গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

মেঘসীমানার শূন্যরেখায় : কাঞ্চন রানী দত্ত > গল্প

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লিফটে উঠে ক্লোজ বাটনে চাপ দেয়ার পর চোখে পড়ল যে আজ লিপস্টিক দেয়া হয়নি। মধ্যবয়সি হলেও এখনো নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে সচেষ্ট উচ্চপদের সরকারি কর্মকর্তা জয়া সরকার। তাই লিফটের ঘোলাটে গøাসে ভরসা রেখেই দ্রুততার সাথে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বের করে লিপস্টিক লাগিয়ে নিল। ততক্ষণে লিফটও পৌঁছে গেছে কাক্সিক্ষত ফ্লোরে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ চলছে। মৃদু শীত শীত আবহাওয়া। হালকা চাদরটা শাড়ির পাড়ের সাথে পরিপূর্ণ ম্যাচিং। অফিসে পৌঁছার পরই একটা নামীয় খাম পেল টেবিলের উপর।
আজ বৃহস্পতিবার আগামী রবিবার চট্টগ্রাম ট্রেনিং একাডেমিতে এক দিনের একটি ক্লাস। নতুন যোগ দেয়া জুনিয়র সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আজ থেকে ২৭ বছর আগে চাকরিতে যোগদান করেছিল জয়া। চাকরি হওয়ার আগে থেকেই বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য তাড়া দিচ্ছিল। কিন্ত চাকরি না পেয়ে বিয়ে করবে না- তার এমন প্রতিজ্ঞা কেউ ভাঙতে পারেনি। প্রতিজ্ঞা না ভাঙলেও মন ভেঙে গিয়েছিল সে সময়ই, ভাঙা মন যে পুরোপুরি জোড়া লাগে না তা জয়া নিজের জীবন দিয়েই বুঝেছে।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের একাডেমিতে পা রাখতেই সেই ২৭ বছর আগের কথা মনে পড়ল।
ট্রেন স্টেশনে থামার পর ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে নামার সময় কালো বেল্টের হালকা হিল জুতাসহ পা বেঁকে গেল। চট্টগ্রামে পা রাখতেই পা মচকে যাওয়ার ঘটনাটা জয়াকে একটু ভাবিয়ে তুলল। যদিও এগুলো সবই কাকতালীয়। কোনোরকমে মচকা পা নিয়ে সিএনজিতে করে যখন একাডেমিতে পৌঁছাল, তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে প্রায়।

দুই.
– আমি বিজয়, আপনার নাম?
– আমি জয়া।
– আপনার একটা লাগেজ আমাকে দিতে পারেন।
– না ধন্যবাদ। আপনাকে অযথা কষ্ট করতে হবে না।
বিজয়ের সাথে প্রথম কথা ও দেখা এই একাডেমিতে। একই ব্যাচে জয়েন করেছিল দুইজন। রিসেপশন রুমে জয়ার সঙ্গে অনেক বাক্স-পেটরা দেখে নারী হোস্টেলে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল সুদর্শন যুবক।
পরদিন একাডেমির ওরিয়েন্টেশনে জয়া বেগুনী ও সবুজ কম্বিনেশনের একটা হাফসিল্ক শাড়ি পড়েছিল। সাথে মাঝারি সাইজের একটা কালো টিপ। চুলগুলো পার্লার ক্লিপ দিয়ে দুই পাশ থেকে আটকানো। সিঁথিটা একটু ডানপাশে। কানে ছোট সিলিভারের ঝুমকা। বাম হাতে একটা কালো বেল্টের ঘড়ি। ডান হাতে একমাত্র প্রিয় সোনার ব্রেসলেট।
হোস্টেলের রুম থেকে একাডেমি ভবনে যাওয়ার পথে হাত থেকে ব্রেসলেটটা পড়ে গেল। মাথা নিচু করে শুকনো পাতার মধ্যে খুঁজতে থাকল সে। তখনই পেছন থেকে হঠাৎ বিজয়ের গলা শোনা গেল।
– আপনার কিছু হারিয়েছে?
– হ্যাঁ, ব্রেসলেটটা হাত থেকে খুলে পড়ে গেছে।
– আমি একটু খুঁজে দেখি।
ঝরে যাওয়া সোনালি রঙের পাতার স্তূপেই পড়েছিল ব্রেসলেটটি। বিজয় খুঁজে পেয়ে জয়ার হাতে দিতেই খুব করে ধন্যবাদ দিল জয়া। নয়তো আজ ওরিয়েন্টেশনের প্রোগ্রামটাই হয়তো মন খারাপের ভারে মাটি হয়ে যেত তার।
একাডেমির প্রথম ফিস্ট ছিল সেদিন। খাবার তালিকায় পোলাও, খাসির মাংস আর বেগুন ভাজা। সবই জয়ার খুব পছন্দের। সেদিন রাতে মেয়েরা ঠিক করল সবাই সাদা ড্রেস, শাড়ি পরবে। জয়ার খুব পছন্দের সাদা থ্রি পিসটা লাগেজ থেকে বের করল, ওড়নাটা পিওর শিফন।
খাবার টেবিলে তো মহাকাণ্ড। সবার দাবি- আজকে মেস ম্যানেজার নিজে খাবার বণ্টন করবে ও সবার শেষে খেতে বসবে। ম্যানেজার বিজয়ের তাড়াহুড়ায় বিশাল সাইজের তেল চপচপে গোল বেগুনের টুকরোটা পড়ল জয়ার সাদা ওড়নায়। কিছুটা তেল লেগে গেল কামিজেও।
সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের চোখ ও হাত স্থির হয়ে গেল। কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। হঠাৎ জলের মগ আর লেবুর টুকরা এগিয়ে দিল।
জয়া শুধু নরম স্বরে একটা কথাই বলল বিজয়ের দিকে তাকিয়ে- এমন অসতর্ক হয় কেউ?
পরদিন সকালেই জয়ার হোস্টেল রুমের দরজায় কড়া নাড়ল বিজয়। দরজা খুলে অবাক জয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টি হানল তার দিকে। বিজয় জানাল, কাল রাতে তেল লেগে যাওয়া কাপড়গুলো স্থানীয় লন্ড্রিতে দিতে চায় সে। তার কণ্ঠে এমন কিছু একটা ছিল, জয়া আর না করতে পারল না। ভাবল- লন্ড্রি যদি দাগ তুলতে পারে, তাহলে ভালোই হবে। আরো কয়েক দিন পরা যাবে প্রিয় ড্রেসটা। কিন্তু সেতো জানত না- কাপড়ের দাগ উঠলেও, স্থায়ী দাগ পড়ে যাবে হৃদয়ে।

অক্টোবরের ২২ তারিখ, বিকাল বেলা একাডেমির পুকুর ঘাটে পা ভিজিয়ে বসেছিল জয়া। হঠাৎ চিংড়ি মাছের ঠোকা খেয়ে চমকে উঠল।
এমন সময় একাডেমির কেয়ারটেকার জমশেদ বলল, পুকুরে সাপ আছে। কথাটা শুনেই বুকটা কেঁপে উঠল। এক পা, দুপা করে দোতলা রুমে আসার সময় শুধু মনে হলো সাপটা তাকে অনুসরণ করছে। সেই থেকে আর কখনো একাডেমির পুকুরে পা ভেজানোর সাহস হয়নি।
একাডেমিতে থাকাকালে প্রথমবার পূজার সময় বাড়িতে যাওয়া হলো না জয়ার। কিছুই করার নেই। কারণ একাডেমিতে বাড়তি ছুটি চেয়ে কোনো লাভ নেই। তবে একাডেমির কোর্স ডিরেক্টর শাহীন স্যার একটা মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করে দিলেন পূজা দেখার জন্য। বিজয়দের বাড়ি চট্টগ্রামে। তাই চট্টগ্রাম শহরের অলিগলি সব তার চেনা।
অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত জয়াকে আকর্ষণীয় সব পূজামণ্ডপ দেখিয়ে তৃপ্ত করল বিজয়। বিশেষত বিজয়া দশমীর দিন পতেঙ্গা সৈকতে অসংখ্য প্রতিমা বিসর্জনের সেই রঙিন সন্ধ্যা যেন কোনোদিন ভুলবার নয়। দেবী দুর্গা চললেন কৈলাশে, কপালে সমস্ত সিঁদুর যেন সূর্যদেবকে দান করে গেলেন।

বিজয়ের দিকে জয়া সেদিন খুব আন্তরিক এক অনুভূতি নিয়ে চেয়েছিল দীর্ঘক্ষণ।
ফেরার পথে একাডেমির ড্রাইভার লিটন বলল, ম্যাডাম আগামী বছরও পূজা দেখতে আসবেন। আমি আপনাদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে সব দেখাব।
সেদিন ছিল একাডেমির সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উপস্থাপকের ভূমিকায় ছিল শিক্ষানবিশ সহকর্মী সজল। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেকের পারফরম্যান্সের বিষয়টি ঠিক করা হচ্ছিল। জয়ার চিরকুটে লেখা ছিল প্রবাসী স্বামীর জন্য কেঁদে কেঁদে গান গাওয়া। জয়া হঠাৎ করেই গেয়ে উঠল- ও কি গাড়িয়াল ভাই…। সবার মুখে সে কি হাসি! তার মধ্যে বিজয়ের অট্টহাসিটা জয়ার কানে এসে ধ্বনিত হলো।
বিজয়ের চিরকুটে উঠল ধান ভানার অভিনয় করে দেখানো। সে কিনা অভিনয় বাদ দিয়ে আবৃত্তির সুরে বলে উঠল- ও বউ ধান ভানে রে…
সান্ত¡না পুরস্কার হিসেবে বিজয় পেল টুথ ব্রাশ আর জয়ার ভাগ্যে জুটলো চিরুনি সেট।
ট্রেনিং শেষে পাসিং আউটের পর যার যার কর্মস্থলে যোগদানের জন্য সবাইকে অবমুক্ত করা হলো। জয়া ওই রাতেই ঢাকায় রওনা দিল।

তিন.
সাতাশ বছর আগের স্মৃতি থেকে বর্তমানে ফিরে নতুনদের ক্লাসে ঢুকতেই সবাই উঠে দাঁড়াল। এই ব্যাচে ৪৮ জন যোগদান করেছে। ক্লাসের নির্ধারিত সময় তিন ঘণ্টা। প্রথমেই সবার পরিচিতি পর্বটা শেষ করল। তার মধ্যে একজনের চেহারা ভীষণ পরিচিত মনে হলো। ছেলেটির নাম বিকাশ। কিন্তু তাকে আগে কোথাও দেখেছে বলে মনে পড়ল না।
দীর্ঘ ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা শেয়ার ও নতুনদের নানা প্রশ্নোত্তরে ক্লাস মুখরিত। নির্ধারিত পাঠের বাইরে অনির্ধারিত পাঠই যেন মুখ্য হয়ে উঠল। সম্পূর্ণ ক্লাসে বিকাশ শুধু একনজরে জয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল। জয়া সেটা লক্ষ্য করলেও ক্লাসে কিছু বলতে পারল না।
দেড় ঘণ্টা পর চা বিরতি। এরই এক ফাঁকে কাছে এসে দাঁড়াল ছেলেটা।
– ম্যাডাম, আমি বিকাশ
– হ্যাঁ, ক্লাসে পরিচিতি পর্বে শুনেছি। প্রশিক্ষণ কেমন লাগছে?
– ভালো লাগছে।
– তোমার পড়ালেখা, বাড়ি কোথায়?
– পড়ালেখা ও বাড়ি দুটোই চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রাম শব্দটা শোনার পর জয়ার হাতে থাকা চায়ের কাপটা একটু ভারসাম্যহীন হয়ে উঠল। এই একটি শব্দে জড়িয়ে আছে এমন কিছু দীর্ঘ স্মৃতি, যা কখনো বিমূর্ত হওয়ার নয়। চা বিরতি শেষে সবাই ক্লাসে ঢুকল।
বিকাশ জয়ার পেছনে পেছনে ঢুকল। ক্লাস শেষ, ভোট অব থ্যাংকসের পর দুপুরে খাবারের জন্য জয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। সাতাশ বছর আগের আর বর্তমানের একাডেমির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। একাডেমির ভবন, পুকুর ঘাট, সেন্টার সবই যেন একই রয়েছে। খাবার টেবিলে যাওয়ার আগে জয়া ফ্রেশ হওয়ার জন্য অফিস রুমে কিছু সময় অপেক্ষা করছিল। এমন সময় অফিস সহায়ক কামাল এসে বলল, ম্যাডাম একজন আপনার সাথে দেখা করবে। তারপরই দরজা খুলে বিকাশ প্রবেশ করল।
– ম্যাডাম আমি একটু কথা বলব।
– হ্যাঁ, বলো। কোনো সমস্যা?
– না, সমস্যা নয়। এই গিফট বক্সটা আপনার জন্য।
– কী আছে এর মধ্যে?
– সেটা জানি না।
– মানে? তুমি দিচ্ছ আর তুমি জানো না?
– আপনাকে পৌঁছে দিলেও এটা আসলে পাঠিয়েছেন আমার বাবা।
– তোমার বাবা? উনি কেন দিয়েছেন? উনি কি আমাকে চেনেন?
– হ্যাঁ, আপনাকে চেনেন। আমার বাবার নাম বিজয় চৌধুরী।

নামটি শোনার সাথে সাথে জয়া স্তব্ধ হয়ে গেল। ঠিক কী জবাব দেবে ভেবে পেল না। তার ভুলে যেতে চাওয়া স্মৃতিরাজ্যের মেঘসীমানার শূন্যরেখায় ভেসে উঠল অনেক ঘটনা আর সেই প্রিয় মুখ…
– ম্যাডাম আপনি অস্থির হবেন না। বাবা আমাকে তার জীবনের সব গল্প বলেছেন। মা মারা যাওয়ার পর থেকে আমিই বাবার একমাত্র বন্ধু।
– বিকাশ, তুমি এখন ডাইনিংয়ে খেতে যাও। আমি আসছি।

বিকাশ চলে গেল রুম থেকে। জয়া লুকিং গøাসে নিজের পাশে বিজয়ের অবয়র কল্পনা করতে শুরু করল। এরই মধ্যে ডাইনিংয়ে যাওয়ার জন্য ডাক এলো। কেন যেন হঠাৎ করে সব ক্ষুধা তৃঞ্চা কর্পূরের মতো উধাও হয়ে গেল।

চার.
বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা হওয়ার পর বিজয় শিক্ষকদের কোয়ার্টারেই বসবাস শুরু করেছিল। বাবার চাওয়ার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়াটা তার জন্য দুঃসাধ্যই ছিল। তবু দুবার স্ট্রোক করা রোগীকে আর বাড়তি দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলতে চায়নি বিজয়। তাই জীবনের বড় দুটি সিদ্ধান্তই বাবার কথায় বদলে নিল সে। কাস্টমসের চাকরি ছেড়ে যোগ দিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর বিয়ে করলো বাবার পছন্দের পাত্রীকে। তবে জয়াকে ভুলতে পারেনি সে। সরাসরি যোগাযোগ না রাখলেও পুরনো সহকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখত ঠিকই।
বিয়ের কয়েক বছর পরই স্ত্রী মারা গেলেও একমাত্র সন্তান বিকাশকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বড় করেছে বিজয়। তার জীবনের সমস্ত ঘটনাই ছেলেকে শেয়ার করেছে। বাবা ছেলের সম্পর্ক শ্রদ্ধার আবার বন্ধুত্বের। কখনো সহমর্মিতার।
দেখতে দেখতে বিকাশও সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়েছে। বাবার প্রথম চাকরির ডিপার্টমেন্টেই। চাকরির শুরুতেই একাডেমিতে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ। বিকাশের ট্রেনিংয়ে যাওয়ার সময় বাবা একটি বিশেষ গিফট বক্স দিলেন। যেটি সময় মতো তার প্রাপককে পৌঁছে দিতে হবে।
গিফট বক্সে কী আছে বিকাশ সেটি নিজেও জানে না। জানার কৌতূহলও অবশ্য নেই।
একাডেমির প্রশিক্ষণে বিকাশ সবার শীর্ষ অবস্থানটি অর্জন করলেও কখনো নিজেকে শীর্ষ মনে করেনি। প্রফেশনের সফলতা আর ব্যক্তি জীবনের সফলতা তো একই পাল্লায় পরিমাপযোগ্য নয়। এত পরিমাপ করেও তো সব সময় ফলাফল নিজের ইচ্ছামতো হয় না। বাবাই এর জ¦লন্ত প্রমাণ।

পাঁচ.
সেদিন রাতের ট্রেনেই ঢাকায় ফিরল জয়া। বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়েই গিফট বক্সটা খুলল সে। তারপরই চমকে ওঠার পালা! স্বচ্ছ প্যাকেটে সুন্দর করে ভাঁজ করা সাদা রঙের সেই কামিজ আর শিফনের ওড়না। ২৭ বছর আগের এক রাতে যাতে তেল চুপচুপে বেগুন ভাজা ফেলে দিয়েছিল বিজয়। সেই অনুশোচনায় দাগ তুলতে পরদিন সকালেই নিয়ে গিয়েছিল লন্ডিতে। তারপর ড্রেসটির কথা আর মনেই ছিল না!

জয়া ভাবতে বসল- ট্রেনিং শেষে ফিরে আসার আগে বিজয়ও কি তারমতোই লন্ড্রিতে দেয়া ড্রেসটির কথা ভুলে গিয়েছিল? নাকি ইচ্ছা করেই রেখে দিয়েছিল অপরিণত প্রেমের এই স্মৃতি!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়