গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

জীবনের সবক্ষেত্রে বাংলার প্রয়োগ : অনুপম সেন > প্রবন্ধ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানুষকে মানুষ করেছে ভাষা। ভাষা মানুষের অসাধারণ অর্জন। ভাষা ছাড়া মানুষ আজকের সভ্যতার যেসব প্রাপ্তি তাতে কোনোদিন পৌঁছতে পারতোনা। মানুষের মনোজগত ও বস্তুজগতের যে অসীম বিস্তার ও প্রসার আজ বিশ্বের বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর সংস্কৃতিতে আমরা দেখতে পাই, তাও ভাষারই সৃষ্টি, ভাষারই অবদান। ভাষার ওপরই নির্ভর করে সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতি। ভাষা তাই একই সঙ্গে একটি সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থার মৌলিক কাঠামো এবং সে কাঠামোর উপরিসৌধ। একটি ভাষার জোর বা তার অর্ন্তনিহিত শক্তির ওপর নির্ভর করেই সে ভাষায় গড়ে ওঠে তার সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি। আর্থসামাজিক সম্পর্কের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধি যেমন ভাষা ও সাহিত্যের বহু বৈভব ঘটায়, তেমনি ভাষার ধারণ ক্ষমতাই মনোজগতের ব্যাপ্তির অসীম প্রসার ঘটিয়ে সাহিত্যের ও বিজ্ঞানের সীমাহীন জগতকে ব্যক্তির মনের সীমায় নিয়ে আসে। সূ², বিরাট ও বিমূর্ত চিন্তা ও সেই চিন্তাকে বাণীরূপ দেয়া কোনো দুর্বল ভাষার পক্ষেই সম্ভব নয়।
বাংলা দুর্বল ভাষা নয়। এটি একটি অত্যন্ত সবল ভাষা। এই ভাষায় আজ পর্যন্ত যে অর্জন ঘটেছে তার সম্ভার বিরাট। এই ভাষায় যেমন মহৎ কবি জন্মেছেন, তেমনি জন্মেছেন বিশ্ববিশ্রæত বৈজ্ঞানিক যারা তাদের বির্মূত চিন্তার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন বিজ্ঞানকে। বর্তমান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনের তত্ত্বের একটি দিকের বিমূর্ত গাণিতিক ব্যাখ্যা যোগ করে সত্যেন বোস বিশ্বসভায় একজন অসাধারণ বৈজ্ঞানিক হিসেবে অমরত্ব লাভ করেছেন, বিজ্ঞানে তার সুচির স্বাক্ষর রেখেছেন। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সঙ্গীত ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বাঙালির যে বিপুল সৃষ্টি হাজার বছরে বিশেষত গত দুশ বছরে গড়ে উঠেছে তাতে বিশ্ববাসীকে সে তার অঙ্গনে গর্বের সঙ্গেই আমন্ত্রণ করতে পারে।
বাংলা ভাষার জন্মলগ্ন থেকেই বাঙালি ভাষা নিয়ে গর্ব করে এসেছে। প্রায় হাজার বছর আগে বাংলা ভাষার সেই আদি প্রত্যুষে যখন তা প্রাকৃত থেকে বাংলা হয়ে উঠেছিল তখনই চর্যাপদের কবি ভূষক কম্বু কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘ভূষক বাঙালি ভৈলি’।
বিকশিত হওয়ার তিনশ বছরের মধ্যেই এই ভাষায় মানবতার অসাধারণ বাণী লেখা হয়েছে,
‘শুন হে মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই’। (চন্ডিদাস)

লেখা হয়েছে, দেহি ও বিদেহি প্রেমের অসাধারণ সব কবিতা। যেমন,
রূপ লাগি আঁখি ঝুড়ে গুণে মন ভোর,
প্রতি অঙ্গ তরে কাঁদে প্রতি অঙ্গ মোর।
অথবা
‘ই-ভর বাদর মাহ ভাদর শূণ মন্দির মোর’।
বা
‘জনম অবধি হম রূপ নিহারিনু নয়ন ন তিরপিত ভেল’।
বা
‘আজু মঝু গেহ গেহ করি মানলু, আজু মঝু দেহ ভেল দেহা’।

আরো লেখা হয়েছে, ধর্মের সম্পর্ক বিরহিত অপূর্ব আখ্যান কাব্য, লিখেছেন মুসলমান কবিরা।

মুসলমান রাজন্যবর্গ হুসেন শাহ, নসরৎ শাহ, পরাগল খান ও ছুঁটি খাঁ বাংলা সাহিত্যের উন্মেষ আকুল বীজটি যেন মহীরুহে পরিণত হতে পারে, তার জন্য যে ভিত্তি ভূমি তৈরি করে দিয়েছিলেন, তা শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করতে হয়। তবুও এ সত্যটি ভোলা উচিত নয়, বাংলা উপমহাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষা হলেও, এই ভাষার কবি এশিয়া মহাদেশ থেকে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেলেও, এই ভাষা ১৯৭২ সালেই প্রথম তার হাজার বছরের ইতিহাসে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা বা সরকারি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে, তার আগে নয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মুখের ভাষা হিসেবে এই ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার- একমাত্র রাষ্ট্র ভাষার নয়- মর্যাদা পেতে বহু তরুণ প্রাণের রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। বাংলা ভাষাই বিশ্বের একমাত্র ভাষা, যে ভাষার জনগণ ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মোৎসর্গ করেছে, প্রাণ দিয়েছে।
আগেই উল্লেখ করেছি ভাষা মানুষের অনন্য অধিকার, কারণ ভাষাই মানুষের চলার পথের হাতিয়ার বা প্রধান মাধ্যম। এই মাধ্যমটি পঙ্গু থাকলে, সমাজ ও রাষ্ট্র যদি একে পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ না করে, তাহলে একে আশ্রয় করে জীবনকে নানাভাবে পরিপূর্ণতা দেয়া খুবই কঠিন। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে কেবল মুষ্টিমেয় বাঙালি যারা এগোতে পেরেছিলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন তারা ইংরেজি জানতেন বা বুঝতেন। অন্য বাঙালিরা, শুধু বাংলা ভাষাভাষী বাঙালিরা অবহেলিতই ছিলেন। এই বঞ্চনা ও অধিকারহীনতার উপলব্ধিই ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের শাসকশ্রেণি যখন উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করতে চাইল, পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে তা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ঠেকাতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তারা জানত, পাকিস্তানের শাসক শ্রেণির এই উদ্যোগে কেবল সাংস্কৃতিক ঔপনিবেশিক আধিপত্যই ছিল না, ছিল অর্থনৈতিক শোষণেরও ইঙ্গিত। এই কারণেই বাঙালির ভাষা আন্দোলনে উপ্ত ছিল বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের বীজ।
দুই.
মনে রাখা প্রয়োজন, কোনো জাতির প্রকৃত অর্থনৈতিক মুক্তি কখনোই কোনো বিদেশি ভাষার মাধ্যমে আসতে পারে না, হতে পারে না। কিন্তু সে কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। আমাদের বিদ্বৎসমাজের বেশ বড় একটা অংশ ভাবেন, কেবল ইংরেজি চর্চার মাধ্যমে, ইংরেজি শিখলেই আমরা উন্নত রাষ্ট্র হতে পারব, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করব। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে যে একটা নতুন বৃহৎ বিত্তভিত্তিক শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে, তাদের অনেকেরই বাঙালি সংস্কৃতির মহৎ অর্জনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বা যোগ না থাকার ফলে তাদের মধ্যেই এই চেতনাটা প্রবল; তারা জানেন না বাংলা ভাষায় কাব্য, কথাসাহিত্য, সঙ্গীত, চারুকলা বা মননের চর্চা কত ঋদ্ধ। তারা মনে করেন, ইংরেজিতে কথা বলতে পারলে, বাক্যালাপ করতে পারলে অথবা দু-এক চরণ কোনোভাবে লিখতে পারলেই আমরা বা আমাদের উত্তর প্রজন্ম বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিণত করতে পারব। তাদের মধ্যে এই ধারণাটা নেই যে, আসলে ভাষা নয় ভাষাভিত্তিক জ্ঞানই একটি জাতিকে এগিয়ে নেয় এবং এক্ষেত্রে মাতৃভাষাই সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। কারণ যে ভাষায় একজন মানুষ জন্মায়, সে ভাষায় তার চিন্তার যে স্বতঃস্ফূর্ততা, স্বাভাবিকতা ও সাবলীলতা থাকে তা অন্য বিদেশি ভাষায় অর্জন করা খুবই কঠিন।
আজ তাই নিজের ভাষাকে, মাতৃভাষাকে অবলম্বন করেই একসময়ের তথাকথিত অনুন্নত দেশগুলো বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি জাপানের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় থেকে কম ছিল। আজ জাপান, তের কোটি লোকের একটি দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী দেশ, নিজের মাতৃভাষাকে জ্ঞানচর্চার বাহন হিসেবে ব্যবহার করেই। জাপানের অভ্যন্তরীণ সম্পদ, কৃষিজ বা খনিজ সম্পদ কোনোটাই খুব বেশি নেই; জাপান ধনী হয়েছে নিজের মানব সম্পদের গুণে, নিজেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করে, নিজের মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে, তারই প্রয়োগে। একই কথা দক্ষিণ কোরিয়া ও চিন সম্পর্কেও প্রযোজ্য। দক্ষিণ কোরিয়া এই সেদিনও বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের প্রথমার্ধেও একটা দরিদ্র দেশ ছিল, মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ থেকে বেশি ছিল না। আজ কোরিয়া কোথায়? তারও এই অর্থনৈতিক উন্নতিতো তার মাতৃভাষার ওপর নির্ভর করেই, পুরো সমাজকে নিজের ভাষার মাধ্যমে একটা দক্ষ শিক্ষিত সমাজে পরিণত করে। চিন কিছুদিনের মধ্যেই, আগামী দুই বা তিন দশকের মধ্যেই হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগিয়ে যাবে সার্বিক বিত্তের বা এউচ এর পরিমাপে। চিনের এই অগ্রগতি, শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার অসাধারণ দক্ষতা অর্জন, নিজের ভাষাকেই জ্ঞানচর্চার বাহন হিসেবে ব্যবহার করে। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক উন্নত দেশই আজ উন্নত হয়েছে নিজের জনশক্তিকে মানবসম্পদে রূপান্তর করে, অর্থাৎ শিক্ষার মাধ্যমে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সে শিক্ষার বাহন তার মাতৃভাষা।
তাহলে আমরা বাঙালিরা, জনসংখ্যার মাপকাঠিতে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ জনগোষ্ঠী, যে ভাষায় এত লোক কথা বলি, যে ভাষা এত সমৃদ্ধ, কেন এত কুণ্ঠিত নিজের ভাষাকে শিক্ষার প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করতে?
আমাদেরতো এ দৈন্য থাকা উচিত নয়, কারণ আমরাই পৃথিবীর প্রথম জাতিসত্তা যারা প্রাণ দিয়েছে ভাষার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে। আজ জাতিসংঘ আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দেয়ার দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করে সারা বিশ্বের সব জাতি-উপজাতির ভাষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যে ভাষাটি বিশ্বের সব ভাষার অধিকারের প্রতীক, যে ভাষা এই উপমহাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট ভাষা, যে ভাষা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষাগুলোর অন্যতম, যে ভাষার বাক্যবিন্যাস ও শব্দভাণ্ডার তুলনাহীন সমৃদ্ধ, সে ভাষা নিয়ে আমাদের অহংকারতো অভ্রভেদী হওয়া উচিত। তাহলে কেন আমাদের এত দ্বিধা এই ভাষাকে জীবন ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে, শিক্ষার ও জ্ঞানের প্রধান বাহন করতে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় তাঁদের ভাষণ দিয়ে এই সত্যতো প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলা বিশ্বের কোনো ভাষা থেকেই ন্যূন নয়, বাংলা ভাষা বিশ্বের অগ্রগণ্য ভাষাগুলোরই অন্যতম।

তিন.
মনে রাখা প্রয়োজন, বাংলা ভাষাকে জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করার অর্থ ইংরেজিকে ত্যাগ করা বা অবহেলা করা নয়। বস্তুত বিশ্বের যে কোনো ভাষায় যেসব মহৎ অর্জন রয়েছে, সে সবগুলোতেই রয়েছে আমার উত্তরাধিকার, তা ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, নরওয়েজিয়ান, ফার্সি বা উর্দু যাই হোক না কেন, কারণ আমি যেমন বাঙালি তেমনি একই সঙ্গে বিশ্ব নাগরিক। ইংরেজির সঙ্গে রয়েছে আমাদের দুশ বছরের গভীর সম্পর্ক। এই ভাষার স্পর্শে, চর্চাতে, প্রভাবে বাংলা ভাষা ঋদ্ধ হয়েছে, বাঙালির দুদুটো রেনেসাঁস হয়েছে, একটি ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে অপরটি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে। ইংরেজির মাধ্যমেই বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডারের সঙ্গে আমরা পরিচিত হয়েছি। এ ভাষায় একশ কোটি লোক কথা বলে; এটি বিশ্বের বহুজাতিক শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলোর প্রধান ভাষা।
এককথায় এ ভাষায় যেমন রয়েছে সাহিত্য, দর্শন ও বিজ্ঞানের অতলান্ত ভাণ্ডার, তেমনি এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যেরও মুখ্য বাহন। তাই এই ভাষার চর্চা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, যেমন আমাদের চর্চা করতে হবে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত ভাষাগুলো, আহরণ করতে হবে সেখানে নিহিত সব ঐশ্বর্য, সাহিত্য বিজ্ঞান ও দর্শনের। কিন্তু ইংরেজি কোনো দিনই আমাদের শিক্ষার বা জ্ঞানচর্চার সর্বলোকের বাহন হতে পারে না, তা স্বাভাবিক বা সম্ভব নয়। কারণ এটা আমাদের অর্জিত ভাষা, মায়ের ভাষা নয়। যতই আমরা এতে দক্ষতা অর্জন করি না কেন, তা কোনো দিনই মায়ের মুখের ভাষার বিকল্প হতে পারে না। আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকেই হতে হবে আমাদের সর্বজনের জীবনের মুখ্য বাহন, সর্বক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে, মননের জগতে, রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়