মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাচন : আওয়ামী লীগের হাফডজন প্রার্থী, বসে নেই জামায়াতও

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর ও শফিউল আলম, শ্রীবরদী থেকে : শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী হাওয়া। চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ। মাঠ দখলে নিতে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের তোড়জোড়। প্রথম ধাপে ৮ মে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ইফতার মাহফিল, পাড়া-মহল্লা আর বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এবার থাকবেনা দলীয় প্রতীক। এমন সিদ্ধান্তে বেড়েছে প্রার্থীদের সংখ্যা। কেউ অঙ্ক কষছেন ভৌগোলিকভাবে আঞ্চলিকতার। কেউবা দফায়-দফায় সভা-সমাবেশ করে ইউনিয়ন থেকে একক প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। জানান দিচ্ছেন নিজের পরিচিতি আর অবস্থান। কেউবা পোস্টার আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ। শোনা যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদে প্রায় হাফ ডজন প্রার্থীর নাম। তবে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী। শোরগোল হচ্ছে পাড়া মহল্লা আর চায়ের দোকানে।
অনেকে বলছেন, এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মুখোমুখি জামায়াতের একক প্রার্থী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, রানীশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান সুজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা খন্দকার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন ছালেম, তাতিহাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জুয়েল আকন্দ, গোসাইপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএ মতিন, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী, পৌরসভার বাসিন্দা সাবেক জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও শ্রীবরদী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান বাদল। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দীর্ঘ থাকলেও তফসিলের পর তেমন কোনো সাড়া নেই।
ভোটের মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান সুজার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান রাজার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা রানীশিমুল ইউনিয়ন থেকে একক প্রার্থী করতে সভা সমাবেশ করছি। আলোচনা চলছে। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ অনেকে জানান, দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন পেতে প্রার্থীরা এখন লবিং গ্রুপিংয়ে ব্যস্ত। গণসংযোগ ও সভা সমাবেশ হচ্ছে। এতে সিনিয়র নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়েও প্রার্থীদের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। অনেকে বলছেন, এবারের নির্বাচনে অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে ভৌগলিক অবস্থান। উঠতে পারে আঞ্চলিকতার টান। কেউ বলছেন, এখন যে বেশি মাঠ দখল করতে পারবে তার পক্ষে উঠতে পারে গণজোয়ার। এসব তর্ক-বিতর্ক আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় ওঠছে চায়ের স্টলসহ আড্ডা খানাগুলোতে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রায় হাফ ডজন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মুখোমুখি হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর একক প্রর্থী নুরুজ্জামান বাদল। তিনি ২০১৪ সালে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। তবে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মতে, বিগত নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। এবার একই অঞ্চলের হাফ ডজন প্রার্থী থাকায় অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা জানান, শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নে একক প্রার্থী অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী। তার আশেপাশে আরো তিনটি ইউনিয়নে নেই কোনো প্রার্থী। যদি আঞ্চলিকতার টান ওঠে তাহলে ফ্যাক্টর হতে পারে ক্লিন ইমেজের এই প্রার্থীর। এমন আলোচনা আর সমালোচনায় জমে ওঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বইছে নির্বাচনী হাওয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়