মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

প্রেমের টানে ঝালকাঠি এসে প্রতারিত ভারতীয় যুবক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝালকাঠি শহর প্রতিনিধি : প্রেমের টানে ইমরান (৩৪) নামে এক ভারতীয় যুবক ঝালকাঠিতে প্রেমিকার বাড়িতে ছুটে এসেছেন। গত শনিবার বিকালে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারে বাড়িতে আসেন তিনি। ইমরান ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুর এলাকার ছেলে। তবে প্রেমিকার বাড়িতে এসে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। এরপর দেশে ফিরে যান। জানা গেছে, ফেসবুকে ইমাদুল হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার সঙ্গে পরিচয় হয় ইমরানের। দুই বছর আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ইমরান বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে টাকা পাঠাতেন এবং কুরিয়ার মাধ্যমে জামা-কাপড় পাঠাতেন। সেই সুবাদে প্রেমিকা ফারজানার বাড়িতে ছুটে আসেন ইমরান। ইমরানের আসার খবর শুনে ফারজানা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ফারজানার পরিবার ইমরান বাড়িতে আসায় তার সঙ্গে অসদাচরণ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ইমরান কোনো উপায় না পেয়ে পরে দেশে ফিরে যান।
ফারাজানার বাবা ইমদাদুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার শ্যালিকা সৌদি আরবে থাকতে তখন সেখানে তার মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের একটা ভিসা দেয়ার কথা বলেছিল। আমি তার হিন্দি ভাষা বুঝতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হতো। আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এটা সে মিথ্যা কথা বানিয়ে বলছে।
ফারাজানার খালা বলেন, যখন সৌদিতে থাকতাম তখন আমরা একই মালিকের কাজ করতাম। একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে আমি তাকে মোবাইল সারাতে দিয়েছিলাম। এরপর তিনি কী কী করেছেন জানি না। আমার মোবাইল থেকে আমার ভাগ্নির ছবি নিয়েছে। আমি সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসার সময় একটা নম্বর দিয়েছিলাম। তিনি ১ মাস পরে কল দেন। এরপর আমি বলেছি ইমু নম্বর দিতে। তিনি বলেন, আমি এই মালিকের চাকরি করব না। ছেড়ে দিব। তখন আমি তাকে বলি আমার যে ১ লাখ টাকা পাওনা, ওটার বদলে আমাকে একটা ভিসা দেন, আমার একটা ভাই আছে ওকে পাঠাব। ভারতীয় যুবক ইমরান বলেন, ফারাজানার ছোট খালা এবং আমি সৌদিতে এক মালিকের চাকরি করেছি। সেই সুবাদে ফারাজানার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারাজানার পরিবারের সবাই জানত। তারা আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর এখন তারা অস্বীকার করছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়