মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

ধ্বংসের পথে দেড়শ বছরের পুরনো মসজিদ : ৬২ বিঘা সম্পত্তির অধিকাংশ বেদখল

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : ১৮৮৪ সালে তৎকালীন জমিদার শেখ আইন উদ্দীন বর্তমান মেহেরপুর জেলার আশরাফপুর গ্রামে ইসলাম ধর্ম প্রসারের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। সে সময় শেখ আইন উদ্দীন ৬২ বিঘা জমি মসজিদের নামে দান করেন এবং তিনি ওই মসজিদের মোতওয়াল্লি হন। জমির আয় দিয়ে সে সময় মসজিদের সব কার্যক্রম চলেছে। শেখ আইন উদ্দীন মারা যাওয়ার পর ১৯৬০ সালে তার বড় জামাতা সামসদ্দিন মিয়া মসজিদের মোতওয়াল্লির দায়িত্ব পান। সে সময় মসজিদের প্রায় ৪৫ বিঘা জমি বেদখল হয়ে যায়। যা আজো উদ্ধার হয়নি। অনেকেই নিজ নামে দলিলও করে ফেলেছেন বলে শোনা যায়। এছাড়া প্রায় সাড়ে ১৩ বিঘা জমি রয়েছে বর্তমান মোতওয়াল্লি কাজী হাবিুবুল ইসলামের দখলে। কিন্তু সেখান থেকেও মসজিদকে কোনো সহযোগিতা করা হয় না। পুরো জমি উদ্ধারের জন্য মামলাও হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। কথাগুলো বলছিলেন মসজিদের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফোয়াদ আলী। সরজমিন দেখা যায়, তিন গম্ভুজবিশিষ্ট নীল রঙের মসজিদটি চারটি বড় স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে। মেঝেতে ফাটল ধরেছে বহু আগে। উঠে যাচ্ছে প্লাস্টার। খসে পড়ছে ভবনের নকশা। মসজিদটি রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছে নামাজ পড়তে আসা শতাধিক মুসল্লি। ফোয়াদ আলী আরো বলেন, ওয়াকফ অ্যাস্টেটের মসজিদে কোনো সভাপতি হয় না। কিন্তু বিগত প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে মোতওয়াল্লি বা ওয়াকফ অ্যাস্টেটের কেউ মসজিদটির কোনো খোঁজ রাখেন না। তাই এটি টিকিয়ে রাখতে আমরা মহল্লাবাসী মিলে একটি পরিচালনা কমিটি তৈরি করেছি। মসজিদটির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ওয়াকফ অ্যাস্টেটের মসজিদ সরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান মোতওয়াল্লির কাছে যেটুকু জমি বা সম্পত্তি আছে তার থেকে কোনো অংশ মসজিদের কাছে আসে না। তিনি কখনোই মসজিদে আসেন না। আমরা মহল্লাবাসী মিলে টাকা তুলে ইমামের বেতনসহ অন্যান্য সব কিছু করি। বর্তমান মোতওয়ালি কাজী হাবিবুল ইসলাম বলেন, ৬২ বিঘার মধ্যে আমার তত্বাবধানে মাত্র সাড়ে ১৩ বিঘা জমি আছে। সেখান থেকে মসজিদকে কিছু দেয়া হয় না। কারণ সেখানে সরকারি কোনো নিয়ম মানা হয় না। ইমাম নিয়োগ হতে হবে সরকারিভাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বাকি জমি উদ্ধারের জন্য মামলা চলছে। ২৮ পরিবারের কাছে প্রায় ৪৫ বিঘা জমি দখলে রয়েছে। আমরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকস বলেন, আমরা কয়েক দফা আপোস মিমাংসার জন্য বসেছি। আবারো সমাধানের জন্য বসব।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওয়াকফ অ্যাস্টেট সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তার বেশির ভাগ অংশ উত্তরাধিকাররা পাবে। কিছু অংশ সেখানে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেখভালের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়