মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

ঈদযাত্রা আনন্দময় হোক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে হচ্ছে চূড়ান্ত ঈদযাত্রা। সড়কে নামবে যাত্রীদের ঢল। গতকাল রবিবার আগের দিন শনিবার দিনের বেলায় রাজধানীর গাবতলীকেন্দ্রিক বাস টার্মিনালগুলো ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা। সায়েদাবাদ ও মহাখালীতে দূরপাল্লার যাত্রীদের চাপ ছিল কয়েকগুণ। বেশিরভাগ গাড়িতে অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। গাবতলীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বস্তুত নানা অব্যবস্থাপনার কারণে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষকে যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে- এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। সামনে কয়েক দিন সড়ক ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে প্রশাসনকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। গণমাধ্যমে খবর আসছে, মহাসড়কগুলোয় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে তৈরি হচ্ছে যানজট। শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজট দেখা গেছে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকাকে যুক্ত করেছে এই মহাসড়কটি। তাই অন্যগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ চাপ সামলাতে হয় দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ককে। সেই সঙ্গে কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যাতায়াত করেন লাখ লাখ মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। কয়েক দিন ধরে গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে যানজট বাড়লে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী ঘরমুখো যাত্রীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। এ পথেই উত্তরবঙ্গের ২৪টি জেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ঈদে নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় দূরপাল্লার যাত্রীদের প্রথম পছন্দ হয় ট্রেন। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে স্পেশাল সার্ভিস চালু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে ঈদযাত্রা নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন। ট্রেনে ৫ গুণের বেশি যাত্রী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলানোই এবার ট্রেনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার। আগামী দুই দিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। প্রতি বছরই ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেন, আশ্বাস-প্রতিশ্রæতি দেন। তারপরও ঈদ মৌসুমে কিছু দুর্ঘটনা, প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সরকারের পক্ষ থেকে এবারো ঈদে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পত্রপত্রিকায় নানা জায়গায় সড়কপথের বেহালদশার ছবি দেখা গেলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের দাবি, এবার দেশের সড়ক যোগাযোগ ভালো অবস্থায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ, সেতু সচল রয়েছে। এবারো ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে বিআরটিসির বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে; ট্রেনে বাড়তি বগি ও ইঞ্জিন সংযোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন ও নৌযানের ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা এসব উদ্যোগের কার্যকারিতা দেখতে চাই। পরিবহন মালিক-শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণ সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্বশীল আচরণ করেন তাহলে ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘœ ও নিরাপদ রাখা সম্ভব। পরিবহন ব্যবসায়ীরা যেন ত্রæটিপূর্ণ যান পথে না নামান, চালকরা যেন বেপরোয়া যান চালনা থেকে বিরত থাকেন, হাইওয়ে পুলিশরা যেন মানবিকতা নিয়ে তৎপর থাকে, আর সর্বোপরি যাত্রীরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল না করেন- এ সময়ে এই আমাদের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়