ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনা : পাকিস্তানের দুই নারী ক্রিকেটার আহত

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পাকিস্তান নারী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ও লেগ স্পিনার ঘুলাম ফাতিমা। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন বিসমাহ ও ফাতিমা। এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে পিসিবি জানায়, ‘সামান্য আহত হওয়ার পর তাদের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা পিসিবির মেডিকেল বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ সামনে রেখে এই দুজনই জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলেন। তবে আহত হওয়ায় এই দুই ক্রিকেটারের আসন্ন সিরিজে খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। করাচিতে আগামী ১৮ এপ্রিল তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজটি শুরু হওয়ার কথা। তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টির এই সিরিজের ম্যাচগুলো করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিরিজকে সামনে স্বাগতিক পাকিস্তান এখনো স্কোয়াড ঘোষণা না করলেও, গত মাসে দল ঘোষণা করেছে ক্যারিবীয় নারীরা।
সিরিজের প্রস্তুতি নিতে গতকাল থেকে দুবাইয়ে তাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরুর কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ হয়েছে গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেখানে বিসমাহ ও ফাতিমা দুজনেই খেলেছেন। ৩ ম্যাচের সিরিজে বিসমাহ ৮৯ রান করেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস, যে ম্যাচটিতে সুপার ওভারে গিয়েছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে ফাতিমা সেই সিরিজে উইকেট নেন ৬টি, যা সিরিজে সর্বোচ্চ। বিসমাহ পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১৩৩টি, রান করেছেন ৩২৭৮। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৪০টি, রান ২৮৯৩। সেই তুলনায় কিছুটা নতুন ফাতিমা। তিনি পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১৫টি, উইকেট পেয়েছেন ২৭টি। ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে উইকেট ২টি।
এদিকে নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতে গত ১ মার্চ পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিসমাহ মারুফ। বিদায়ি টুইট বার্তায় নিজের পদত্যাগের বিষয়ে বিসমাহ লিখেছেন, ‘আমার কাছে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার থেকে বড় সম্মান কিছু নেই। এটাই পরিবর্তনের সেরা সময় বলে মনে হয়েছে আমার। কম বয়সের কোনো ক্রিকেটারকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নতুন অধিনায়ক সবসময় আমার সাহায্য ও পরামর্শ পাবে। দলকেও যতটা সম্ভব ততটাই সাহায্য করব।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন তিনি। যদিও ২০১৬ সালে সানা মীরের পরিবর্তে তিনি স্থায়ীভাবে নেতৃত্ব পান। তার নেতৃত্বেই ২০২২ সালে একদিনের বিশ্বকাপ খেলে পাকিস্তান। গত বছর কমনওয়েলথ গেমসেও পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন বিসমাহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়