ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপ শেষে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র!

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। সব ঠিক থাকলে আগামী জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরটি। যেখানে অংশ নিবে ২০টি দল, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দলের অংশগ্রহণ। তবে বিশ্বকাপের আগে বোর্ডের ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে আছে আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএসি)। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটে চলমান পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আর একই কারণে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে সামনেই বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকায় আপাতত সেই পদক্ষেপ থেকে সরে আসছে আইসিসি।
ক্রিকবাজের তথ্যমতে, ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। যার সর্বশেষ নজির নুর মুরাদকে সরিয়ে দেয়া। যে কারণে গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে। প্রধান নির্বাহী হিসেবে মুরাদকে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেয়ায় আইসিসি তাকে পুনর্বহাল করতে বলেছিল। কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
ইউএসএসি পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে একটি সূত্র ক্রিকবাজকে জানান, ‘তারা মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না। তারা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তারা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’
সূত্রটি আরো জানায়, প্রধান নির্বাহী থাকাবস্থায় মুরাদ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে ঘরোয়া ক্রিকেট পরিচালক, অর্থ ব্যবস্থাপক এবং অন্যান্য পদে নিয়োগ। কিছু ক্ষেত্রে বোর্ড পরিচালকেরা নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে চেয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে জাতীয় দলের জন্য হাই-পারফরম্যান্স কাঠামো তৈরির চেষ্টাও সফল হয়নি।
উল্লেখ্য, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচ দিয়ে। ২৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি ম্যাচ আয়োজন করবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়