ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

তদন্তে নেমেছে দুদক : কুষ্টিয়ার মেয়রের বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পর এবার আদায় করা অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে তা ভুয়া বিল ভাউচার-ব্যবহারের মাধ্যমে মেরে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়র আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মেয়র আনোয়ার আলী, তার স্ত্রী আকতার জাহান, মেয়রের ছেলে পারভেজ আনোয়ার ও তার স্ত্রী নওশিন শারমিনের নামে স্থাবর সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে আগামী ৬ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য গত সোমবার জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক বরাবর চিঠি দিয়েছে দুদক। তাদের কোনো প্রকার প্লট, ফ্ল্যাট, দোকান বা কোনো স্থাপনা বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকলে এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রাদির মূলকপি সংরক্ষণপূর্বক ১ (এক) সেট সত্যায়িত ছায়ালিপি এ পত্র প্রাপ্তির তারিখ হতে ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পালকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পেলে সেটির প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই এবং অভিযোগের বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য হাইকমাণ্ডের অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। তাদের অনুমতি নিয়ে মেয়র আনোয়ার আলীর দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা

রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিছু নথিসহ তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো অনিয়ম এবং অসংগতি পাওয়া গেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর মোবাইল ফোনে অনেকবারই কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, এর আগে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদুক মামলা করে। মামলায় সস্ত্রীক নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বেশ কিছুদিন জেল হাজতেও ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়