ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

কারখানা বাড়াতে ভরাট হচ্ছে ৩ ফসলি জমি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে কার্টন প্রস্তুতকারক কারাখানা এম এন প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং এক্সেসরিজের বিরুদ্ধে তিন ফসলি জমিতে বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তার দাবি, জমি তাদের কারাখানার নামে কেনা। ফসলি জমি নষ্ট হলেও তারা কোনো অপরাধ করেননি।
গত শুক্রবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কারখানার পাশেই উত্তর দিকে ট্রাক দিয়ে চলছে কৃষি জমিতে মাটি ভরাটের কাজ। আর এ কাজের দেখভাল করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবু তাহেরসহ বেশ কিছু লোকজন।
স্থানীয়রা অভিযোগে করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে কিছু জমি কিনে এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন। যে কারণে কৃষকরা তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অতি সহজে তারা এসব তিন ফসলি ভরাট করে তাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রশস্ত করছেন। ফলে স্থানীয় কৃষি জমি হ্রাস পেয়ে ফসল উৎপাদন কমে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাজি সমেজ উদ্দিন অভিযোগে করে বলেন, আমি জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা করলেও আমার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বিরোধপূর্ণ জমি কিনে কার্টন কারখানার লোকজন সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে। অপরদিকে, বাস্তা গ্রামের আওলাদ হোসেন মঞ্জু বলেন, ওই কারখানার লোকজন এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে।
এ বিষয়ে এম এন প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং এক্সেসরিজের ম্যানেজার আবু তাহের বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্রয় করা জমিতে মাটি ভরাট করছি। কৃষি বা ফসলি জমি ভরাট করা যাবে না এমন আইন আমার জানা নেই। তবে এলাকার মানুষকে হয়রানির বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
ধল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষি জমি ভরাট করতে বন্ধ করতে বলেছি। অনাপত্তি পত্রের সরকারি সব শর্ত না মানলে বিধি মোতাবেক অনাপত্তি পত্র বাতিল করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির এমন কর্মকাণ্ডে ট্রেড লাইসেন্সে বাতিল বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, ফসলি জমি ভরাট করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়