আজকের খেলা

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল হোক

পরের সংবাদ

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভিড় বেড়েছে বাঘার ঈদ বাজারে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) থেকে : ঈদুর ফিতরের বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। আর এই ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা বেড়েছে রাজশাহীর বেড়া উপজেলার ঈদ মার্কেটগুলোতে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ১৫ রমজানের পর থেকে মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এবার ঈদের কেনাকাটায় তরুণীদের পছন্দ ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি থ্রি পিচ-ফোর পিচ আর টাঙ্গালের পছন্দের শাড়ি কিনছেন সব শ্রেণির নারী। তরুণদের পছন্দ ডিজিটাল প্রিন্ট পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, কাতোয়া শার্ট। দেরিতে বেচাকেনা শুরু হওয়ায় সাশ্রয়ী দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব ধরনের পোশাকের দাম বেশি। গতকাল শুক্রবার উপজেলার পোশাক বাজার ও ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সব বয়সি ক্রেতার পদচারণায় জমে উঠেছে ঈদের মার্কেট। এবার ঈদের কেনাকাটায় তরুণীদের পছন্দ ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি থ্রি পিস-ফোর পিস আর টাঙ্গালের পছন্দের শাড়ি কিনছেন সব শ্রেণির নারী। তরুণদের পছন্দ ডিজিটাল প্রিন্ট পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, কাতোয়া শার্ট। মা ফ্যাশন গ্যালারিতে ডিজিটাল প্রিন্ট পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট দেখছিলেন কয়েকজন তরুণ। এর মধ্যে কলেজপড়–য়া শান্ত মিঞা নামে একজন জানান, ৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে তাকে পোশাক কিনতে হবে। সেক্ষেত্রে প্যান্টের সঙ্গে মিল রেখে প্রিন্ট পাঞ্জাবি নয়তবা টি-শার্ট কিনবেন। মালিক আলমগীর হোসেন জানান, ক্রেতার সুবিধার্থে ডিসকাউন্টে বিক্রি করছেন। দামি পোশাক দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। উপজেলা সদরে বড় ব্যবসায়ী নুর প্লাজার রূপায়ণ বস্ত্রালয় অ্যান্ড গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান জানান, এবার ঈদের কেনাকাটায় বেশি চাহিদা রয়েছে টাঙ্গাইলের শাড়ির মধ্যে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দামের গ্যাস সুতা, তসোশীল, বালুচুরি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৯ হাজার টাকা।
এছাড়া রয়েছে টাঙ্গাইলের জামদানি, ঢাকাই জামদানি, ইন্ডিয়ান কাঞ্চিবরণসহ বিভিন্ন ধরনের পার্টি শাড়ি। আরো রয়েছে পাকিস্তানি থি-পিস- মালিহার, আলিয়া কোর্ট, ইন্ডিয়ান নাইরা, আফরান। এসব পোশাকের দাম ৬০০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আইডিয়াল বস্ত্র বিতানে পরিবার নিয়ে দেশীয় প্রিন্ট শাড়ি কিনছিলেন খায়ের হাট গ্রামের জিয়া মণ্ডল। তিনি জানান, ঈদে সবার চাওয়া থাকে নতুন পোশাক। তাই পছন্দমতো কিনতে না পারলেও বাজেটের মধ্যে যেটা হয়, সেটাই কিনবেন। দোকানের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, সব শ্রেণির ক্রেতা মিঠাই, চায়না, ডিজে, জেকে, পাখীজা প্রিন্ট শাড়ি কিনছেন। কোয়ালিটি ভেদে এসব শাড়ির দাম ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।
প্রজাপতি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সুবদেব সরকার, সাত্তার প্লাজার ডায়মন্ড কালেকশনের স্বত্বাধিকারী সুজিত কুমার সরকারসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রমজান শুরুর আগেই শিশু থেকে সব বয়সের নারী-পুরুষ ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দেশি কাপড়ের পাশাপাশি ঢাকাই জামদানিসহ ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি থ্রি পিস-ফোর পিস ও শাড়ি কাপড়সহ বিভিন্ন ডিজাইনের শতাধিক ব্র্যান্ডের নানান দামের বাহারি নামের পোশাক তুলেছেন। বিগত বছরগুলোয় রমজানের শুরু থেকে ঈদের কেনাকাটা চলেছে। এবার ১৫ রমজানের পর থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। সব ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ছোটদের ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা দামের সুতি ফ্লগ, বড়দের ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ দামের গেঞ্জি, ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দামের শার্ট রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিযোগিতার যুগে কোনো খদ্দের যেন ফেরত না যায় সেজন্য সব ধরনের পোশাকসহ কর্মচারীর সংখ্যাও বাড়িয়েছেন। খরচের হিসাবে বেচাকেনা ভালো না হলে টিকে থাকা মুশকিল হবে।
কসমেটিক্স ব্যবসায়ী রায়হান ও ফ্যাশন সুজের আবুল হোসেন জানান, পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিক্স কেনার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রেতাদের ভিড় থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়