আজকের খেলা

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল হোক

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশের পথে-প্রান্তরে, স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে উড়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা সব সময় জানায় আমাদের বাংলাদেশের কথা, মনে করিয়ে দেয় একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ৩০ লাখ মানুষকে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের ৫৩ বছর পূর্তির দিনে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি, যে দেশের মানুষের সামনে এখন সোনালি ভবিষ্যৎ। দেশের জন্মদিনে এক অন্যরকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠে বাঙালি। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫৩ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানায় বাংলাদেশ।
দেশজুড়ে নতুন প্রজন্মের অভূতপূর্ব গণজাগরণ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে স্বাধীনতা দিবসে আবার দ্যুতি ছড়ায় বিজয় দিবসে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজের পতাকা হাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা। কালরাতের আঁধার পেরিয়ে আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিনটি বাঙালি জাতি হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই পালন করে পুরো জাতি। স্বাধীনতা বুকে ধারণ করে পুরো জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
মুক্তিযুদ্ধ হলো বাঙালি জাতির শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো আমাদের বাঙালি জাতির আজন্মলালিত স্বপ্ন, একটি জাতির চেতনার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দোলা দিয়েছে আমাদের মনে, আমাদের স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করেছে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সহায়তা করেছে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং এই স্বপ্নকে বেগবান করেছে এবং এক নতুন আশা ত্বরান্বিত করেছে। যে চেতনা বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায়। এই চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের চেতনাকে আরো শানিত করতে হবে।
যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু শুনেছে গল্পের আকারে তাদের পরিবারের কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির কাছে, শিক্ষকের কাছে, কোনো নেতার কাছে, কোনো মুক্তিযোদ্ধার কাছে বা বইতে পড়েছে। সেই শোনা বা পড়া কতটুকু সঠিক বা তার বিস্তৃৃতি কতটুকু, তা আমরা জানি না। একটি উদ্যোগ নিতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আমরা কতটুকু সফল? ইতিহাস বিকৃতি জাতিকে ধ্বংস আর বিভ্রান্তি ছাড়া কিছুই দিতে পারে না।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে বিষয়টি নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই হবে নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস, এই চেতনাকে শানিত করতে আমাদের এখনই কাজ শুরু করা উচিত। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কোনো জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শরিক থাকা, সামান্যতম অবদান রাখতে পারা যে কোনো ব্যক্তির জন্য গর্বের ব্যাপার। আমাদের গৌরবের জায়গা হলো এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
১৯৪৭ সাল থেকেই শেখ মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির প্রধান আকর্ষণ। বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাস তাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। তরুণ শেখ মুজিব ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা। নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়। এরপর ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ছয় দফাভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বাধীনতা দিবস আসে নতুন বার্তা নিয়ে। দেশকে আবারো অন্ধকারের দিকে ধাবিত করতে অনেক চেষ্টা করে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর। কিন্তু তাদের জানা দরকার বাঙালি জাতি বীরের জাতি। স্বাধীনতাবিরোধীরা বারবার পরাজিতই হবে, দেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষ শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এসব অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার রক্ত শপথে বলীয়ান হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করে একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় শপথ।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতি স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর বাসভবন এবং টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে। রাস্তায় বের হওয়া শিশু-কিশোর ও তরুণদের হাতে শ্রদ্ধার ফুল, কারো গালে কিংবা কপালে আঁকা ছিল রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা, প্রিয় মাতৃভূমির মানচিত্র। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা গায়ে জাতীয় পতাকাসদৃশ শর্ট পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি এবং মেয়েদের পরনে লাল-সবুজের মিশ্রণে জাতীয় পতাকার মতো শাড়ি। সত্যি চোখ জোড়ানো দৃশ্য। সবাই অংশ নেয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনন্দ-উৎসবে।
রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠে তরুণ প্রজন্মরা শুনেছে তাদের বীরত্বগাথা ইতিহাস, জেনেছে একাত্তরে বুদ্ধিবীজীদের হত্যার কালো ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের ব্যাপক উপস্থিতি, তাদের চোখে-মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখার দৃপ্ত শপথ আর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ সব প্রত্যক্ষ করেছে দেশের মানুষ। নতুন প্রজন্মের এমন গণজাগরণ আশাবাদী ও সাহসী করে তুলেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে।
রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই দৃঢ় আশাবাদী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নতুন প্রজন্মের এমন জাগরণ জানান দেয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন এক জন্মভূমির যাত্রা শুরু কথা, আশার কথা। বাঙালি জাতি আনন্দ আর বেদনার মহাকাব্য স্বাধীনতার সংগ্রামে একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসিকতা আর হাজারো নারীর আত্মত্যাগের বীরত্বগাথা। অন্যদিকে বর্বর পাকসেনা আর রাজাকার-আলবদরদের নীচুতা, শঠতা ও হিংস্রতার কলঙ্কময় ইতিহাস।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রান্তিক জনগণ ভালো থাকে এবং তাদের পরিবারসহ মুক্তিযোদ্ধারা ভালো থাকে বলে তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতা, চিকিৎসাসেবা এবং বাসস্থান প্রদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে মনপ্রাণ।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যে কোনো মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম যেমন দেশের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে হয়, তেমনি তার সঙ্গে সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে দাঁড়ায় সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ। সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষকে সেদিন বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানোর নায্যতা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কূটনীতিতে সেদিন ইয়াহিয়াকে পরাজিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করে, সশস্ত্র পথে হানাদার তাড়ানোর যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কূটনীতির কাছে হেরে যায় পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। বিজয়ী হন বঙ্গবন্ধু, রূপান্তরিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে। বাংলার অনেক সূর্যসন্তান হয়তো বাঙালি জাতির শৃঙ্খল মোচনের স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তাই বলা যায়, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন, একে অপরের পরিপূরক। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে কল্পনা করা যায় না।
মুক্তিযোদ্ধারা যে জীবনকে তুচ্ছ করে, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেশমাতা ও মাতৃভূমিকে মুক্ত করে, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন, তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি জাতিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ফলে তারা শ্রমজীবী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকসহ এ দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছিল। বাঙালি জাতি কীভাবে তাদের পরাজিত করেছিল, তার যথাযথ ইতিহাস নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব ও কর্তব্য সবারই। কিন্তু আমরা সেটি কতটুকু করছি, সেই প্রশ্ন আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনার স্বপ্ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশের মানুষকে উন্নয়নের স্বাদ পাইয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা, বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান দিয়ে যথাযথ মর্যাদার আসনে বসানোই ছিল মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অঙ্গীকার ছিল দেশবাসীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার পূরণ করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন, অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এর পাশাপাশি হাতে নেয়া হয়েছে ২১০০ সালের বদ্বীপ কেমন হবে- সেই পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশে সব কাজ সম্পাদন করা হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে হবে দক্ষ। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ।
আমরা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার করি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা বলি, কিন্তু নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া কী? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা- এসব কোমলমতিদের হৃদয়ে গেঁথে দিতে হবে। এদের হাত ধরেই এ দেশ একদিন দুর্নীতিমুক্ত, হিংসামুক্ত, বৈষম্যহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

হীরেন পণ্ডিত : কলাম লেখক ও গবেষক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়