আজকের খেলা

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল হোক

পরের সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : ঝিনাইগাতীতে সরব আ.লীগের ৪ ও বিএনপির ২ প্রার্থী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরেই বইছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন গণসংযোগ। দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করে পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছেন পুরো উপজেলা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল অনুসারে প্রথম ধাপে ঝিনাইগাতী উপজেলায় নির্বাচন হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ হলো ১৫ এপ্রিল। যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও সমর্থকরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এলাকার চায়ের দোকান ও আড্ডাস্থলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ভোটাররা কথাবার্তা বলছেন। কে জিততে পারেন, কে পারবেন না, এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন ভোটাররা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিষয়টি ভোটারদের মুখে-মুখে। ভোটাররা জানান, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ঝিনাইগাতী উপজেলার মাটি থেকে বড় কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। এ পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলা থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেয়ে এসেছেন। ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শ্রীবরদী উপজেলা থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলায় আঞ্চলিক বিষয়ের মতো ইস্যু সৃৃষ্টি হয়েছে। যেসব আওয়ামী লীগ নেতা নিজের এলাকার পক্ষে না থেকে শ্রীবরদীর সংসদ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছেন, ঝিনাইগাতী এলাকার মানুষ তাদের বিষয়ে অসন্তুষ্ট। উপজেলা নির্বাচনে তারা প্রার্থী হলে ভোট পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। উপজেলা নির্বাচনে যারা ভোট করবেন, ইতোমধ্যে তারা গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন। এরা হলেন দুইবারের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভাবছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিএনপি সমর্থীত রাংটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হক, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক।

পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যানদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, যুবলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম রুকন, কাদের মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহুরুল ইসলাম মেহেদী, মো. কামরুজ্জামান, ফজলুল করিম, মান্নান মিয়া, শাহ আলম, হাফেজ মৌওলানা হারুন অর রশিদ মোল্লা, মোনায়েম হোসেন মনির। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানদের মধ্যে ভোট করবেন বলে আলোচনায় আছেন, বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান লাইলী বেগম, জেসমিন আক্তার, শেফালী বেগম, আকলিমা খাতুন, আঞ্জুমানারা, সুফিয়া বেগম। ইতোমধ্যেই তারা নির্বাচনী জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়