কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে যে হরিলুট চলছে তারই প্রতিফলন হচ্ছে পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট। তিনি বলেন, সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারের ঘটনা দেখে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতি বা লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। সমাজে নৈরাজ্য পরিস্থিতির জন্য এই অগণতান্ত্রিক সরকারই দায়ী। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে যখন গণবিরোধী সরকার থাকে তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জন্ম নেয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসের ঘটনায় যে সরকার জড়িত নেই সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্র যখন নিজেই লুটেরাদের ভূমিকা পালন করে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেটা দেখে তো সমাজে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হবেই। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা এখন বিদেশের মাটিতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক।
গণমাধ্যমে এসেছে, একজন এমপির বিদেশে ২৫০-৩০০টি বাড়ি, এটি চিন্তা করা যায়? সুতরাং সমাজের পেশাগত ডাকাতরা তো উৎসাহিত হবেই। ক্ষমতাসীনরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে বেগম পাড়া, সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। বিশ্ববাসী এ অগণতান্ত্রিক সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।