পররাষ্ট্রমন্ত্রী : সোমবার ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

আগের সংবাদ

ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ : দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১.২৫%, অর্ধেকই মোটরসাইকেলে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এবারের ঈদযাত্রায় আগে-পরে ১৫ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৯৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। বরাবরের মতো এবারো দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ২১ জন আহত এবং নৌপথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হন।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে সড়ক, রেল ও নৌপথে অবকাঠামো ভালো হয়েছে। এতে যানবাহনের গতি বেড়েছে। কিন্তু গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়া ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের চলাচল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এবার ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হন, আহত হন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং ৫৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। এবার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি দুটোই বেড়েছে। দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ২৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এবারো দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত এবং ২৪০ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণ পরিবহনগুলোতে নগদ অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরনেছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়