সাবের হোসেন চৌধুরী : বনের জমি দখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় নয়, বন কর্মকর্তার খুনিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

আগের সংবাদ

সর্বাত্মক অভিযানে যৌথবাহিনী

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক-ফুটপাত হকারের না জনগণের!

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর হেন কোনো সড়ক বা ফুটপাত নেই যেখানে অবৈধ দখলদার, হকাররা বসে ব্যবসা করছে না। চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘চট্টগ্রামের ফুটপাত হবে হকারমুক্ত।’ কিন্তু তা তিনি করতে পারেননি। ফলে পথচারী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকসহ যাত্রীদের ভোগান্তির অবসান হলো না। কারণ, এর পেছনে রয়েছে লাখ-লাখ টাকার অবৈধ চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুবিধা আদায়। এসব অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন বা পুলিশ বিভাগ ব্যবস্থা নিতে গেলেই তারা উল্টো তাদের ওপর হামলা করে। এমনকি সড়কও অবরোধ করে রাখে নানা সময়ে। যেমনটি নগরীর জিরো পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত নিউমার্কেট মোড় হতে যাওয়া অন্তত ৪টি সড়ক ও এর ফুটপাত শত চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত হকারমুক্ত করতে পারছে না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চসিক। এমনকি গত বুধবারও নিউমার্কেট মোড়, স্টেশন রোড, জুবিলী রোডসহ নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকার হকাররা সড়ক অবরোধ করে স্থায়ীভাবে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালানোর দাবিতে সমাবেশ করেছে। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চসিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বারবার অভিযান করে যাচ্ছে। কিন্তু আবারো সেসব হকার রাস্তা ও ফুটপাতজুড়ে বসে গেছে। শুধু নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকাতেই নয়, সিটি করপোরেশন নগরীর শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন গোল চত্বরের আশপাশের এলাকাসহ কয়েকটি জায়গাতে অভিযান চালিয়ে হকারমুক্ত করেছিল। কিন্তু তা আবার ৩-৪ দিন যেতে না যেতেই বেদখল করে ফেলেছে হকাররা।
হকার ও অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্য নগরীর সর্বত্র। এমনকি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সড়ক ও এর প্রবেশ মুখের সড়ক ও আশপাশের এলাকাও এর বাইরে নয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই স্থাপনার আশপাশে যদি এমন অবস্থা তৈরি করে রাখে অবৈধ দখলদাররা তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রশাসন আছে, কি নেই? সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কী করেন? কোনো জবাবদিহিই যেন নেই কোথাও। তবে গত বৃহস্পতিবার চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জনসাধারণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেন। চসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযানে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়