কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে দারিদ্র্য হারের পাশাপাশি শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো নিশ্চিতে আমরা সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। গতকাল বুধবার গণভবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা টিম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব একথা বলেন। কেপিজে হেলথ কেয়ার বেরহাদ সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিন কিট চুয়ান প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পাঞ্চলে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে এলাকার শ্রমিক ও মানুষ সহজে মেডিকেয়ার সুবিধা পেতে পারে। হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়। আমি আর রেহানা জনগণের স্বার্থে আমাদের সমস্ত সম্পত্তি ট্রাস্টকে দান করে দিয়েছি। আমাদের কেউ নেই। আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি।
তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র ছিল। তারা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা

নিশ্চিত করেছি।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার একটি বিখ্যাত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ দ্বারা ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি পরিচালিত হয়। কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৯টি হাসপাতালের একটি চেইন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে নামকরণ করা এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যার বিশ্বমানের এই হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের সেবা করে আসছে। এটি বাংলাদেশে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএমএস) প্রত্যায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে পরিণত হয়েছে, যা রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা লাভের আস্থা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্যুরো ভেরিটাস ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অবদানের জন্য এটিকে পুরস্কৃত করে।