সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

সড়ক নিরাপত্তায় আহ্ছানিয়া মিশনের সাত সুপারিশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরসহ সব সময় সব সড়ক ব্যবহারকারী যাতে নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে সরকারের প্রতি ৭টি সুপারিশ পেশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের গতি নির্ধারণ, মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করা, সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা জোরদারে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সভায় এই সুপারিশ উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় আহ্ছানিয়া মিশন রোড সেইফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) জেরিন আফরোজ, অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইকবাল মাসুদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর সংখ্যা দিন-দিন বেড়েই চলেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসবে সড়ক দুর্ঘটনার হার আরো বেড়ে যায়। সেসঙ্গে বাড়ে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যাও। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে উত্থাপিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
সুপারিশগুলো হলো : সড়কে দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ হলো যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতি। সড়ক ও পরিবহনের ধরন অনুযায়ী গতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন অতিসত্তর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা ও এ সংক্রান্ত এনফোর্সমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে,
যানবাহনে চালকসহ সব যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন। পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধি-বিধান জারি করা, মদ্যপ অবস্থায় বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা। সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে যেহেতু বিভ্রান্তি রয়েছে সেহেতু সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনাগুলো বিবেচনায় এনে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা। এছাড়া যেহেতু বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এ সড়ক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা বিষয়টি অনুপস্থিত, সেহেতু বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনে একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়