সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম : দিরাই ইউএনওসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসন শাহ্/জাকারিয়া হোসেন জুসেফ, সুনামগঞ্জ ও দিরাই থেকে : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ বাড়ানোর অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য জেবেল মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন- দিরাই উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী এ টি এম মোনায়েম হোসেন, উপজেলার ২৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি জগলু মিয়া ও ২৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি জসিম উদ্দিন। মামলার সূত্রে জানা যায়, হাওরের বোরো ধান রক্ষায় সরকার প্রতি বছর অস্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করেন এবং সেই বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বছরেও দিরাই উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের জলডোপ বাঁধের কাজের জন্য ২৭ নম্বর পিআইসিতে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৪ টাকা ও ২৮ নম্বর পিআইসিতে ১৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯৬ টাকা বরাদ্দ দেয় পাউবো। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিরাইয়ের ইউএনও মাহমুদুর রহমান খোন্দকার ও পাউবো উপসহকারী প্রকৌশলী এ টি এম মোনায়েম হোসেন এ দুটি বাঁধের মধ্যে ২৭ নম্বর পিআইসির বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ও ২৮ নম্বর পিআইসির বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন মামলার বিবাদীরা। এছাড়া পিআইসির নীতিমালা না মেনে হাওরে যাদের জমি নেই, তাদের দিয়ে বাঁধের কাজ করানোসহ এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শেষ না করার বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করেন বাদী। মামলার বাদী জেবেল মিয়া বলেন, দিরাইয়ে দুইটি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের টাকা ইউএনও, পাউবোর সেকশন কর্মকর্তারা (এসও) মিলে কাগজ-কলমে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যেখানে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রথমে দেয়া হয়েছিল, সেখানে তারা ৩১ লাখ ৭১ হাজার এবং আরেকটিতে ১৪ লাখের জায়গায় ৩৭ লাখ টাকা করে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করেছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। জেবেল মিয়া আরো বলেন, আমি মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব। আমরা কৃষকের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কৃষকের ওপর নির্যাতন জুলুম এবং তার স্বপ্নের ফসল নিয়ে কাউকে খেলার সুযোগ দেব না। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান খোন্দকারের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পাউবো উপসহকারী প্রকৌশলী এ টি এম মোনায়েম হোসেন বলেন, আমার শ্বশুর মারা গেছেন, তাই আমি কর্মস্থলে নেই। বাঁধের কাজের জন্য টাকা বেশি লাগবে, তাই টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়